আগরতলা, ৩০ অক্টোবর : ত্রিপুরায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ মোকাবিলায় টিএসআর জওয়ানরা দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। যা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। বুধবার মান্দাইয়ের বিনন কোবরা পাড়ায় টিএসআর’র দ্বিতীয় বাহিনীর পোস্ট পরিদর্শন ও দীপাবলি উৎসব উদযাপনে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী টিএসআর বাহিনীগুলির সার্বিক উন্নতির জন্য ৬টি পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, টিএসআর জওয়ানদের রেশনমানি ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করা হবে। সব র্যাঙ্কের জওয়ানদের জন্য পোশাক ভাতা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হবে। প্রত্যেক ব্যাটেলিয়ানে জিমনাসিয়াম স্থাপনের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হবে। টিএসআর ব্যাটেলিয়ানে সেবা দিতে ইচ্ছুক মেডিক্যাল অফিসারের সাম্মানিক বর্ধিত করে মাসিক ৬০ হাজার টাকা করা হবে। অ্যাডহক ভিত্তিতে ২৪০ জন জওয়ানের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হবে। টিএসআর পোস্ট এবং ব্যারাকের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জওয়ানদের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দীপাবলি হল অশুভ শক্তির বিনাশ এবং অন্ধকার থেকে আলোতে আসার উৎসব। তিনি বলেন, রাজ্যে ১৯৮৪ সালের ১২ মার্চ ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের (টিএসআর) এর প্রথম ব্যাটেলিয়ান প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সময়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর স্বল্পতার কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ধাচে টিএসআর বাহিনী গড়ে তোলা হয়। বর্তমানে রাজ্যে ১৪টি টিএসআর ব্যাটেলিয়ান রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) রাজ্যের গর্ব। বীরতা ও বন্ধুত্ব এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে টিএসআর জওয়ানরা দেশের সেবায় নিয়োজিত। দেশের অন্যান্য পুলিশ বাহিনীর তুলনায় রাজ্যের টিএসআর বাহিনীর সাফল্য কোন অংশে কম নয়। আমাদের দেশে এই বাহিনীর সুনাম রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, রাজ্য পুলিশের আইজি (টিএসআর ও ওপিএস) ক্যারি মারাক, টিএসআর ২য় ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডেন্ট নারায়ণ রায় চৌধুরী, রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশক জি এস রাও প্রমুখ।