আগরতলা, ২৫ অক্টোবর : দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে অংসগঠিত শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুক্রবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে পিএম-বিশ্বকর্মা প্রকল্পে প্রদর্শনী ও বাণিজ্যিক মেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের সমস্ত প্রথাগত কারিগর ও শিল্পীদের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পিএম-বিশ্বকর্মা প্রকল্পটি চালু করেছিলেন, যাদের জন্য আগে কখনও ভাবা হয়নি। কার্পেন্টার, রাজমিস্ত্রী, নাপিত, ধোপা, মালাকার, দর্জি, পুতুল ও খেলনা প্রস্তুতকারক সহ ১৮টি নির্বাচিত ট্রেডের সাথে যুক্ত ঐতিহ্যবাহী প্রথাগত কারিগর ও শিল্পীদের সুবিধা প্রদান করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতির অবস্থা এখন অনেক উন্নত। আগের চেয়ে স্বসহায়ক গোষ্ঠীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে স্বসহায়ক গোষ্ঠীগুলিকে সহায়তা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক থেকেও স্বসহায়ক গোষ্ঠীগুলি ঋণের সুবিধা পাচ্ছেন। রাজ্যের প্রথাগত কারিগরি শিল্পীগণ তথা বিশ্বকর্মারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোগ মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঁঝি বলেন, পিএম-বিশ্বকর্মা প্রকল্পে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো সমাজের গরীব অংশের মানুষের রোজগার সৃষ্টি করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের মাধ্যমে স্বরোজগারের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছেন বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঁঝি।