বক্সনগর, ২১ অক্টোবর : বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো সরকারিভাবে প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থসাহায্য পেলেন না সোনামুড়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকার চাষীরা। এই অবস্থায় মনের দুঃখ মনে চেপে রেখেই এবার শীতকালিন সবজি চাষে মনযোগী হয়েছেন তারা। লাভালাভের বিষয়টিকে ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে আপাতত ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো ইত্যাদি শীতকালীন সব্জির চারা রুপন করছেন চাষীরা।
বর্তমান সরকার কৃষকদের অন্নদাতা হিসেবে আক্ষায়িত করে থাকে। কিন্তু তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মুখে অন্ন উঠল কি না। তার খবর কেউ রাখে না। কয়েকদিনের লাগাতার বর্ষণের কারণে গত অগাস্ট মাসের শেষের দিকে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল কৃষিপ্রধান সোনামুড়া মহকুমা। সোনামুড়ার কৃষিজ অঞ্চল বলে পরিচিত বেজিমারা, বটতলী, তেলকাজলা, উরমাই ইত্যদি এলাকার চাষীদের ধানি জমির পাশাপাশি হাজার হাজার কানি সব্জি ক্ষেত চলে গিয়েছিল জলের তলায়।
বন্যার এতগুলি দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এখনো নূন্যতম সরকারি অর্থ সাহায্য মেলেনি তাদের। বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সফর। সরকারি পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের হিসেব-নিকেশ ইত্যাদি তাদের কাছে হাসির খোরাক ছাড়া আর কিছুই নয়। এতকিছুর পরও জীবন থেমে থাকে না। দুঃখ ভুলে নুতন আশায় বুক বেঁধে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে চায় প্রতিটি মানুষ।
এদিকে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০০ টাকা করে সরকারি ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানা গেছে কৃষিদপ্তরের তরফে। তাতেও নাকি হচ্ছে দলবাজি। শাসক দলীয় নেতা বা কর্মী হওয়ার সুবাদে এমন অনেক ব্যক্তির নাম উঠেছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় আদতে তারা কৃষকই নয় বলে জানা গেছে।