বক্সনগর, ১৯ অক্টোবর : গৃহবধূকে খুন করে মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে দেয় স্বামীর বাড়ির লোকজন। এমনটাই অভিযোগ গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনের। ঘটনা সিপাহীজলা জেলার মেলাঘর হাসপাতাল রোড সংলগ্ন এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ১১ বছর আগে মেলাঘর হাসপাতাল রোড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা নিতাই সাহার সঙ্গে অমরপুর নতুন বাজারের মিঠু রাণী সাহার বিয়ে হয়। দীর্ঘ ১১ বছর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকলেও ১০ বছর যাবৎ গৃহবধূ মিঠু রাণী সাহার উপর স্বামী, শাশুড়ি এবং জায়েরা অত্যাচার করত। অত্যাচার সহ্য করেও গৃহবধূ মিঠু রাণী সাহা স্বামীর সংসার করতে আগ্রহী ছিল। গৃহবধূর উপর তার স্বামী এবং শাশুড়ি কখনো মানসিক কখনো শারীরিক নির্যাতন করত। এমনকি তাকে দিয়ে বাড়ির সমস্ত কাজ করানো হত যেন মনে হয় সে কাজের মেয়ে।
শুক্রবার রাতে মিঠু রাণী সাহার ভাই ফোন করলে জানতে পারে মিঠুকে প্রচন্ড মারধর করা হয়েছে এবং তার পা ভেঙ্গে ফেলা হয়। তখন ভাইয়েরা বলেছিল থানায় মামলা করার জন্য। কিন্তু সে মামলা করেনি। মিঠু রাণী সাহার ভাইদের অভিযোগ তাদের বোনকে রাতে প্রচন্ড মারধোর করে খুন করে মৃতদেহ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক করছে স্বামীর পরিবারের লোকজন।
শনিবার সকাল সাড়ে এগারটা নাগাদ গৃহবধূ মিঠু রাণী সাহার ভাইয়েরা ঘটনাস্থলে এসে বোনের এই অবস্থা দেখে তারা উত্তেজিত হয়ে বোনের জামাই এবং জাকে পুলিশের সামনে মারধোর করার চেষ্টা করে। এতে অনেক সময় ধরে হাসপাতাল রোড এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। শেষ পর্যন্ত মেলাঘর থানার পুলিশ মিঠু রাণী সাহার স্বামী এবং জাকে তড়িঘড়ি তাদের হাত থেকে রক্ষা করে মেলাঘর থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মিঠু রাণী সাহার ভাইয়েরা তাদের বোনের জামাই এবং ওই পরিবারের লোকজনের কঠোর শাস্তি দাবি করছেন।