খোয়াই, ৭ অক্টোবর : “সহাবস্থানের ভিত্তিতে সংরক্ষণ” এই থিম এর উপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হল রাজ্যভিত্তিক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সপ্তাহ। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন ২ অক্টোবর তাঁর অনুসৃত অহিংসা নীতির উপর ভিত্তি করে এবারের থিম গৃহীত হয়েছে বলে স্বাগত ভাষণে বলেন মুখ্য বন সংরক্ষক আর কে সামল । সোমবার বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মার নির্বাচনী ক্ষেত্র আশারামবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের বেহালাবাড়ি ভিলেজ কাউন্সিল অফিস প্রাঙ্গনে বিকেল তিনটায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রাজ্যভিত্তিক বন সংরক্ষণ সপ্তাহের সমাপ্তি অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন ত্রিপুরা রাজ্যে বন এবং বন্য প্রাণী সংরক্ষণে দেশের চেয়ে পরিসংখ্যানগতভাবে অনেকটাই এগিয়ে। রাজ্যের মোট স্থলভাগের ৬৫ শতাংশ বন এলাকা। ত্রিপুরার বনে বন্যপ্রাণীরা নিরাপদে তাদের জীবন নির্বাহের জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। ফলে এখন আগের চাইতে পরিকাঠামগত উন্নয়নে বন্যপ্রাণীরা নিরাপদে থাকতে পারছে এবং প্রজননগত ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন রাজ্যে মোট দুইটি নতুন সংরক্ষণ রেজাল্ট ফরেস্ট এলাকা সংযোজিত হয়েছে।
বনমন্ত্রী আরও বলেন, সিপাহীজলা চিড়িয়াখানার পরিকাঠামোর অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে শুধু পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করলেই চলবে না, প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা। তাহলেই বন্যপ্রাণী নিধন বন্ধ হবে এবং প্রকৃত অর্থে সংরক্ষণ করা যাবে বন ও বন্যপ্রাণীদের। ত্রিপুরার সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির পেছনে নির্বিচার বন ধ্বংস এক অন্যতম মুখ্য কারণ হিসাবে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি আরো বলেন বন্যপ্রাণী সঠিকভাবে সংরক্ষিত না হলে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে পৃথিবীতে বন্যা সহ নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উদ্ভব হবে। তাই সাধারণ অংশের জনগণের সহায়তা চেয়েছেন বনমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা , বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস , ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য অনন্ত দেববর্মা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তুলাশিখর বিএসসির চেয়ারম্যান প্রদীপ দেববর্মা। অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী ছয়টি স্ব-সহায়ক দলকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং উপস্থিত সাধারণ জনগণের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করেন।