আগরতলা, ১৯ সেপ্টেম্বর : শিশুদের বিকাশের প্রাথমিক স্থান হলো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে সবদিক দিয়ে উন্নত করতে পারলে শিশুদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষামন্ত্রী টিংকু রায় বৃহস্পতিবার আগরতলা টাউনহলে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক সপ্তম রাষ্ট্রীয় পোষণ মাহ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন।
মন্ত্রী টিংকু রায় আরও বলেন, রাজ্যে প্রায় ১০ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। এতে প্রায় ৪ লক্ষ শিশু রয়েছে। প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে লেখাপড়া, পানীয়জল, শৌচালয়, খেলাধুলা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যে ৩টি জাতীয় এবং ৩০টি রাজ্যস্তরের সামাজিক ভাতা প্রকল্পে প্রায় 8 লক্ষ সুবিধাভোগীকে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শৈশবকাল থেকেই শিশুরা সুস্থ ও সবলভাবে বেড়ে উঠলে সমাজ, রাজ্য ও দেশ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কারণ শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। রাজ্যের শিশুরা শৈশবকাল থেকেই যাতে স্বাস্থ্যবান হয়, অপুষ্টি, রক্তাল্পতায় না ভোগে সেই লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ সালের ৮ মার্চ এই পোষণ মাহ অভিযান (জাতীয় পুষ্টি মিশন)-এর সূচনা করেন। বর্তমানে প্রতিবছর ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় পোষণ মাহ পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলার পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার,ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেববর্মা ও ত্রিপুরা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস প্রমুখ।