কৈলাসহর, ১২ সেপ্টেম্বর : ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরে কীর্তন থলী এলাকার এইচ.পি পেট্রোলিয়াম কর্তৃক গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। তাও আবার দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করায় গ্রাহকেরা হাতেনাতে ধরে ফেলেম।
উল্লেখ্য, কৈলাসহরের কীর্তন থলী এলাকায় যেদিন থেকে এইচ.পি পেট্রোলিয়াম ব্যবসা শুরু করেছে সেদিন থেকেই নিয়মিতভাবে ভাবে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কখনো গ্রাহকদের টাকার বিনিময়ে পেট্রোল কিংবা ডিজেল নির্দিষ্ট পরিমান থেকে কম দেওয়া হচ্ছে। আবার কখনও অন্যভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। পাঁচ ছয় মাস পূর্বে এই এইচ.পি পেট্রোলিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের পেট্রোল এবং ডিজেল নির্দিষ্ট পরিমান সরবরাহ না করে কম করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেইসময় সেই অভিযোগ ধামাচাপা দিলেও এবার দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে গ্রাহকের সাথে টাকা নিয়ে টাকা না নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ তোলে লেজেগোবরে এইচ.পি পেট্রোলিয়াম কতৃপক্ষ।
কৈলাসহরের সীমান্ত এলাকা থেকে মাল বোঝাই করে একটি ট্রাক মিজোরাম যাবার সময় কৈলাসহরের কীর্তন থলী এলাকায় এইচ.পি পেট্রোলিয়াম থেকে গাড়ির চালক বারো হাজার চারশো টাকার তেল নিয়ে বারো হাজার পাঁচশো টাকা দেওয়ার পর মালিক কর্তৃপক্ষ একশো টাকা গাড়ির চালককে ঘুরিয়ে দেয়। পরবর্তী সময়ে গাড়ির চালক ফের মালিক কর্তৃপক্ষকে দুই হাজার টাকার খুচরা নেওয়ার জন্য দুই হাজার টাকা দেয় এবং দুই হাজার টাকার খুচরো গাড়ির চালককে দিয়ে দুই হাজার টাকা গাড়ির চালকের কাছ থেকে খোঁজা শুরু করে। এই কথা শোনার পর গাড়ির চালক বলে যে, দুই হাজার টাকা দেওয়ার পরই তো দুই হাজার টাকার খুচরো দিলেন। কিন্তু মালিক কর্তৃপক্ষ দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়নি বলে অস্বীকার করে। এই কথা শোনার পর গাড়ির চালক চ্যালেঞ্জ করে জানায় যে, সি.সি টিভির ফুটেজ চেক করার জন্য। কিন্তু মালিক কর্তৃপক্ষ সি.সি টিভি চেক করতে রাজি নন। এমনকি মালিক কর্তৃপক্ষ গাড়ির চালকের সাথে খারাপ ব্যাবহার শুরু করে। পরবর্তী সময়ে গাড়ির চালক কৈলাসহরের অন্যান্য গাড়ির চালকদের খবর দেওয়ার সাথে সাথেই অন্যান্য গাড়ির চালকরা ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। পুরো ঘটনা অন্যান্য গাড়ির চালকরা শোনার পর মালিক কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যেতেই মালিক কর্তৃপক্ষ কৈলাসহর থানায় খবর দেয় এবং খবর পেয়ে কৈলাসহর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়।
কৈলাসহর থানার পুলিশ দুই পক্ষের কথা শোনার পর মালিক কর্তৃপক্ষকে সি.সি টিভি চেক করার নির্দেশ দেওয়ার পর সি.সি টিভি চেক করে দেখা যায় যে, গাড়ির চালক ঠিকই দুই হাজার টাকা দিয়েছিলেন। দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে মালিক কর্তৃপক্ষের জারিজুরি হাতেনাতে গ্রাহকেরা ধরে ফেলায় লজ্জায় মুখ লুকোয় এইচ.পি পেট্রোলিয়ামের মালিক কর্তৃপক্ষ। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও অনেকবার এই এইচ.পি পেট্রোলিয়ামের বিরুদ্ধে তেল কম দেওয়া সহ নানান অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল।