তেলিয়ামুড়া, ২৫ আগস্ট : উন্নতিকরণের কাজের শুরু থেকেই নিন্মমানের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন যানবাহন চালক থেকে শুরু করে এলাকাবাসীরা। তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। কথা হচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্যের আঠারোমুড়া পাহাড়ের আসাম- আগরতলা জাতীয় সড়কের বেহাল দশা নিয়ে।
ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক প্রশ্রস্ত করার কাজে বরাদ্দ অনুযায়ী হাত দেওয়া হয় বহিঃরাজ্যের ঠিকাদার সংস্থা এন এস সি কোম্পানি। নির্মাণ কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু কাজের সাথে জড়িত থাকা কেউই আমল দেয়নি। কাজের গুণগত মান বজায় রাখতে আবেদন জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। টানা কয়েকদিনের বর্ষণে পাহাড় ভেঙ্গেছে আঠারমুড়া পাহাড়ে আসাম- আগরতলা জাতীয় সড়কের রাস্তা সহ রাস্তার পাশের সাইড ওয়াল। তাতে রাজ্যের লাইফ লাইন যেমন বন্ধ তেমনই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে জাতীয় সড়কের পাশে থাকা পরিবারগুলিকে। একাধিক পরিবারের ভেঙ্গে পড়েছে একমাত্র বসতঘর।
জাতীয় সড়কের বর্তমান পরিস্থিতির কারণ নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীদের অভিমত পুরাতন রাস্তাটি ভালো ছিল। কিন্তু নতুন রাস্তা উন্নতিকরণে ছিল দুর্নীতি। এমনটাই অভিযোগ ৪৭ মাইলের বসবাসকারী গিরিবাসীদের। অভিযোগে, পুরাতন মেটেরিয়াল তুলে নিয়ে পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করা হয়েছিল সড়ক নির্মাণে। বহিঃরাজের ঠিকাদারি সংস্থা এন এস সি কোম্পানিকে কাজ করার বরাত দেওয়া হয়েছিল। এনএইচপিডব্লিউডি দপ্তরের পক্ষ থেকে কাজের গুণগতমান বজায় রাখার দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছিল এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অঞ্জন দাস সহ দপ্তরের একাংশ ইঞ্জিনিয়ারদের। কাজের শুরু থেকেই ৪৭ মাইল মহাদেব মন্দির সংলগ্ন পরিবারগুলির অভিযোগ ছিল জাতীয় সড়কে নির্মাণ কাজটি গুণগত মান বজায় না রেখেই করা হচ্ছে। কিন্তু সহজ সরল এলাকাবাসীদের অভিযোগ আমল দেয়নি কেউই।
যারা কাজের সাথে সরকারিভাবে যুক্ত তাদের সামনে কাজের গুণগত মান বজায় রাখেনি ঠিকাদারি সংস্থা। আর যার ফলে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে জাতীয় সড়কের উপর নেমেছে ধস আবার কোথাও নবনির্মিত জাতীয় সড়কে ধরেছে ফাঁটল। কোন কোন জায়গায় জাতীয় সড়কের পাশে নির্মিত সাইড ওয়াল ভেঙ্গে চুরমার। প্রশ্ন উঠেছে সরকারি ইঞ্জিনিয়াররা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে নিম্নমানের কাজ হয়েছে। তার পরেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চ পদস্থ অধিকারীকরা কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।