কুমারঘাট, ১৯ জুলাই : “কারেন্ট চাই কারেন্ট চাই, কারেন্ট ছাড়া গতি নাই ” এই স্লোগানেই শুক্রবার সকাল থেকে উত্তাল হয়ে উঠে ত্রিপুরার মন্ত্রী সুধাংশু দাসের নির্বাচনী কেন্দ্র ফটিকরায় বিধানসভার গঙ্গানগর এলাকা। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ দিনের পর দিন গঙ্গানগর এলাকায় চলছে টানা বিদ্যুৎ বিভ্রাট। দিন কিংবা রাত কখনোই সঠিকমতো তারা বিদ্যুৎ পরিষেবা পাননা বলে অভিযোগ।
বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে নিগমের কর্মীদেরও দেখামেলা ভার বলেই অভিযোগ। তারা জানিয়েছেন এবিষয়ে নিগমের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েও সমস্যা মেটাতো দূর উপরন্তু প্রকট হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। তীব্র গরমে একদিকে যখন মানুষের নাজেহাল অবস্থা তখন এই বিদ্যুৎ চপলতা দূর্ভোগ বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের। এনিয়ে শুক্রবার ঊনকোটি জেলার গঙ্গানগরে বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের সামনে আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন দূর্ভোগপিড়িতরা।
অবরোধের জেরে রাস্তার দুধারে আটকে পরে যানবাহন। তারা ক্ষোভ উগড়ে দেন বিদ্যুৎ নিগম এবং প্রশাসনের ভূমিকায়। শুধু তাই নয়, এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা নিয়েও এদিন আন্দোলন তেজী করেছেন এলাকার মানুষ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে চলা এদিনের আন্দোলনে আটকে পড়তে হল পানিসাগরের বিজেপি বিধায়ককেও। প্রশাসনের বিরুদ্ধে কিভাবে রাস্তায় নেমেছেন মানুষ তা সচক্ষে এদিন দেখতে হল খোদ সরকার পক্ষের বিধায়ককেই।
অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফটিকরায় থানার পুলিশ, মহকুমা প্রশাসন এবং বিদ্যুৎ নিগমের আধিকারিক ও কর্মীরা। আন্দোলনকারীরা ঘিরে ধরেন নিগমের ডিজিএম সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের। স্থানীয়দের অভিযোগ গঙ্গানগরে বিগত কয়েক বছর ধরে একটি সাবস্টেশন তৈরী করা হলেও তা চালু করছে না নিগম। এটি চালু হলে তাদের সমস্যা কিছুটা মিটবে বলে আশাবাদী তারা। পরে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে বিদ্যুৎ নিগমের আধিকারিকের আশ্বাস পেয়ে প্রত্যাহার হয় আন্দোলন। বিদ্যুতের এই সমস্যা নিয়ে নিগমের অচলঅবস্থাকেই সামনে তুলে ধরলেন ডিজিএম।
শুধু গঙ্গানগর এলাকাই নয় গোটা ফটিকরায় বিধানসভা এমনকি মহকুমাজুড়েই ইদানিং বিদ্যুৎ চপলতায় নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ নিগম কিংবা প্রশাসন সমস্যা নিরসনে পুরোপুরি অথর্ব বলে অভিযোগ। আর তাতেই প্রতিবাদের ঝাজ জোড়ালো হচ্ছে গ্রাহকদের মধ্যে।