বিশালগড়, ৯ জুলাই : মহিলা গ্রাম প্রধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কালিমা লিপ্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নিজের দলের কিছু ব্যক্তি। ঘটনা সিপাহীজলা জেলার কমলাসাগর বিধানসভার অন্তর্গত সেকেরকোট গ্রাম পঞ্চায়েতে।
ওই গ্রামের প্রধান দীপ্তি দে এর বিরুদ্ধে এলাকার কিছু ষড়যন্ত্রকারীরা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছিল। অভিযোগ ছিল পঞ্চায়েত প্রধান দীপ্তি দে এর স্বামী নিখিল দাস চা বাগানের শ্রমিক না হয়েও চা বাগানের জায়গা দাবী করেছিলেন জেলাশাসকের কাছে। মঙ্গলবার সেকেরকোট মালাবতী চা বাগানের শ্রমিকরা নড়েচড়ে বসে। সকালে মালামতী চা বাগানের শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানান, প্রধানের স্বামীর নাম দেওয়া হয়েছে চা বাগানের শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কেননা প্রধান দীপ্তি দে এর বাবা ছিলেন মালবতী চা বাগানের একজন শ্রমিক।
প্রধান দীপ্তি দে স্বামীকে নিয়ে উনার বাবার বাড়িতেই বসবাস করেন এবং সেই সুবাদে উনার পরিবারটি গরীব বলে শ্রমিকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধানের স্বামী নিখিল দাসের নাম পাঠানো হয়েছে সরকারিভাবে জমি প্রদানের জন্য। চা বাগানের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, এতে প্রধান কিংবা তাঁর স্বামীর কোন ধরনের হাত নেই। প্রধান এবং তাঁর স্বামী নিজেও নাকি জানতেন না যে প্রধানের স্বামীর নাম পাঠানো হয়েছে জেলাশাসক অফিসে। বাগানের শ্রমিকরা আরো জানিয়েছেন তাদের এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান দীপ্তি দে সব সময় মানুষের সাথে থাকেন এবং বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
শ্রমিকরা অভিযোগ জানিয়েছেন, চক্রান্তমূলকভাবে কেউ প্রধান এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ এনেছে কেননা সামনেই রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে দাঁড়াতে না পারে তাঁর জন্যই প্রধান দীপ্তি দে এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মালাবতী চা বাগান শ্রমিকরা চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।