আগরতলা, ৯ জুলাই : ধর্মীয় পর্যটন, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের উপর কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। এই দুটি ক্ষেত্রে নানা প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের বর্তমান সরকার কাজ করছে। রাজ্যগুলিকেও এই দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করতে হবে। মঙ্গলবার আগরতলায় রাজ্য অতিথিশালায় ত্রিপুরার পর্যটন নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সুরেশ গোপী একথা বলেন।
তিনি বলেন, ত্রিপুরায় পর্যটন শিল্পের বিকাশের প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রকৃত পেশাদারি মনোভাব নিয়ে চলতে হবে। পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের বিরাট সুযোগ রয়েছে। পর্যটনের মাধ্যমে স্বরোজগারী হওয়ার জন্য বেকারদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে মুদ্রা লোন একটি বড় ভূমিকা নিতে পারে। নবপ্রজন্ম এগিয়ে এলে শুধু তারাই স্বাবলম্বী হবে না ত্রিপুরাও এর মাধ্যমে লাভবান হবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশে অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়কে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার উপর পরামর্শ দিয়েছেন।
পর্যালোচনা সভায় ত্রিপুরার পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিত পথে রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পের বিকাশে কাজ করছে। পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা তথা পর্যটন উন্নয়ন নিগমের এমডি প্রশান্ত বাদল নেগি পর্যটন দপ্তরের কাজকর্ম বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
তিনি জানান, রাজ্যে পর্যটকদের আগমনের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩-২৪ সালে রাজ্যে ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ২৯৯ জন পর্যটক এসেছিলেন। এরমধ্যে ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩২৮ জন দেশি এবং ৭৫ হাজার ৯৭১ জন হচ্ছেন বিদেশি পর্যটক। ২০২২-২৩ সালে রাজ্যে আসা পর্যটকদের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৩৬ জন। এরমধ্যে দেশি পর্যটক ছিলেন ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭১২ জন ও বিদেশি পর্যটক ছিলেন ৩৫ হাজার ১২৪ জন। চলতি বছর ৭ লক্ষের মতো পর্যটক রাজ্যে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।