আগরতলা, ২ জুলাই : বর্তমানে নারীরা বিভিন্ন উচ্চপদে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। পাশাপাশি এখনও নারীরা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হচ্ছেন। মঙ্গলবার রণীরবাজারের গীতাঞ্জলী হলে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের মুসকান কর্মসূচিতে শিশু কন্যাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন।
মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, নারী শক্তির উন্নয়ন ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্পূর্ণ হয় না। কোন ক্ষেত্রেই মহিলাগণ পুরুষের চাইতে পিছিয়ে নেই। রাজ্য সরকার মহিলাদের উন্নয়ন ও অধিকার সুরক্ষায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। তিনি বলেন, কন্যা ভুণ হত্যা, বাল্য বিবাহের মতো ঘটনাও ঘটছে। এই সব সামাজিক সমস্যা থেকে নারীদের রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচির সুচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাধারাকে অনুসরণ করে রাজ্যেও এসব সামাজিক ব্যাধি দূর করতে এবং নারী শক্তির বিকাশে রাজ্য সরকার কাজ করছে। এই কাজে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পর্যটনমন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাণীরবাজার পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন অর্পণ শুক্লদাস, জিরানীয়া মহকুমার অতিরিক্ত মহকুমা শাসক অনিমেষ ধর, রাণীরবাজার আইসিডিএস প্রকল্পের সিডিপিও শ্রাবণী রায়, রাণীরবাজার পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন প্রবীর কুমার দাস ও সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও বিষয়ে একটি নাটক প্রদর্শিত হয়। তাছাড়া অনুষ্ঠানে ২৪ জন শিশু কন্যাকে শিক্ষাসামগ্রী সম্বলিত ব্যাগ উপহার দেওয়া হয়। পর্যটনমন্ত্রী শিশু কন্যাদের হাতে ব্যাগগুলি তুলে দেন।