রাজ্যের জনগণকে স্বচ্ছ প্রশাসন উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে ই-অফিস হল অন্যতম প্ল্যাটফর্ম : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১ জুলাই।। রাজ্যের বর্তমান সরকার প্রশাসনে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মাইলফলকগুলির মধ্যে ই- অফিস হল অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতে প্রসারিত এই প্ল্যাটফর্ম শুধু রাজ্যের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য নয়, সমগ্র দেশের কাছেই এটি একটি উদাহরণ। আজ সচিবালয়ের ২নং সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েত অফিসে ই-অফিস চালুর ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ই- অফিস ১০০ শতাংশ চালু করেছে এমন দপ্তরগুলিকে শংসাপত্র প্রদান করেন। তাছাড়াও বেনিফিসিয়ারী ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফলভাবে কার্যকর করায় মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দপ্তরকে শংসাপত্র প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের জনগণকে স্বচ্ছ প্রশাসন উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডিজিটাইজেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে রাজ্যে ইতিমধ্যেই ই-ক্যাবিনেট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। প্রতিটি দপ্তরে ই-অফিস চালু হওয়ার ফলে জনগণকে দ্রুত পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বর্তমানে ৫৮৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৫৮৯টি ভিলেজ কাউন্সিল অফিস, ৪টি জেলা পঞ্চায়েত অফিস, ৪টি পিআরটিআই, ৩৫টি পঞ্চায়েত সমিতি, ৪০টি ব্লক উপদেষ্টা কমিটি এবং ৮টি জেলা পরিষদকে ই-অফিসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, শিক্ষা দপ্তর, নগর উন্নয়ন ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলিতে ই-অফিস ব্যবস্থা ক্ষেত্র পর্যায়ের অফিসগুলোতেও চালু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে রাজ্যের আরও একটি সাফল্যের ভিত্তি হল বেনিফিসিয়ারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (বিএমএস) সফল কার্যকর করা। বর্তমানে এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে রাজ্যের প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বিভিন্ন প্রকল্পে সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন হচ্ছে ডিজিটাল ইন্ডিয়া গঠন করা। প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্ন পূরণে রাজ্যেও সমস্ত ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ভাবনাকে বাস্তব রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে অনেক অগ্রসর হয়েছে। ছোট রাজ্য হলেও ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে রাজ্য দেশের মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের মে মাসে রাজ্যে মিশনমুডে ই-অফিস চালুর কাজ শুরু হয়েছিল। বর্তমানে প্রতি দপ্তরের পাশাপাশি পঞ্চায়েত স্তরের অফিসেও ই-অফিস চালু করা সম্ভব হয়েছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা এবং শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা বিশ্বশ্রী বি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, শিক্ষা দপ্তরের সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার, নগর উন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, রাজস্ব দপ্তরের সচিব পুনীত আগরওয়াল সহ বিভিন্ন দপ্তরের সচিবগণ ও অধিকর্তাগণ।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?