আগরতলা, ২১ জুন : শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। তারা সুন্দরভাবে বড় হলে দেশের কল্যাণ হবে। এজন্য অভিভাবক, শিক্ষক, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা ও আশাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুক্রবার আগরতলায় প্রজ্ঞাভবনের পকসো আইনের ৩৯ ধারা ও আদর্শ নির্দেশিকা নিয়ে রাজ্যভিত্তিক আলোচনাচক্রে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী টিংকু রায় একথা বলেন।
মন্ত্রী টিংকু রায় আরও বলেন, রাজ্যে অনাথ শিশুদের কল্যাণে রাজ্য সরকার ও শিশু কল্যাণ কমিটি কাজ করছে। জানান, বাল্য বিবাহ, শিশু শ্রম, শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্যের প্রায় ১০ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও ৫৬টি চা বাগান এলাকায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে শিশু কল্যাণ কমিটি ও চাইল্ড হেল্প লাইনকে আরও সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
আলোচনাচক্রে সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, ২০১৮ সালে বর্তমান সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর শিশু কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের উদ্যোগে এবং ত্রিপুরা শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের ব্যবস্থাপনায় এই আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শঙ্কর দে, জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের রিসোর্সপার্সন সোনাক্ষী রাধিকা ও ত্রিপুরা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সত্যগোপাল চট্টোপাধ্যায়, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা স্মিতা মল, ত্রিপুরা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা, ত্রিপুরা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্যা মনীষা সাহা প্রমুখ।