আগরতলা, ২০ জুন : মন ও শরীর ভালো রাখার ক্ষেত্রে যোগার গুরুত্ব অনুধাবন করে রাজ্য সরকার যোগাকে ত্রিপুরা স্পোর্টস পলিসিতে সংযুক্ত করেছে। ত্রিপুরায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পাশাপাশি ক্রীড়াদপ্তর পরিচালিত বিভিন্ন সেন্টারগুলিতেও যোগাকে সামিল করা হয়েছে। তাই
সারাদেশের সঙ্গে রাজ্যেও আগামীকাল দশম আন্তর্জাতিক যোগা দিবস উদযাপন করা হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় এ সংবাদ জানান।
ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় আরও জানান, হাঁপানিয়াস্থিত আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে রাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক যোগাদিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেখানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, সিআরপিএফ, বিএসএফ, টিএসআর সহ এনএসএস-এর স্বেচ্ছাসেবীরা যোগায় অংশগ্রহণ করবেন।তিনি জানান, ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগাদিবস পালনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ২১ জুন আন্তর্জাতিকস্তরে যোগাদিবস পালনের দাবী জানান। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাভাবনাকে মর্যাদা দিয়েই রাষ্ট্রসংঘ প্রতিবছর ২১ জুন দিনটিকে আন্তর্জাতিক যোগা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। রাজ্যেও প্রতিবছর রাজ্যস্তরের পাশাপাশি জেলা সদর, মহকুমাস্তরে ও ব্লকস্তরে আন্তর্জাতিক যোগা দিবস পালন করা হয়ে থাকে।
সাংবাদিক সম্মেলনে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ডঃ প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, আগামীকাল রাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক যোগা দিবসের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মিলেটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সচেতনতার উপরও এক বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে মিলেটের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। তাই মিলেট সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতের প্রস্তাব অনুযায়ী জাতিসংঘ ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেট বছর হিসেবে ঘোষণা করেছে।প্রসঙ্গত, সাংবাদিক সম্মেলনে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা পি কে দেব উপস্থিত ছিলেন।