গন্ডাছড়া, ২৯ মে : সমাজদ্রোহীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বিএসএনএল -এর গন্ডাছড়া মহকুমা অফিসটি। ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএল অফিসটি ১৯৮৫ ইং সালে চালু হয়। তৎকালীন সময়ে বিএসএনএল -এর কোন নিজস্ব জায়গা না থাকায় আইসিডিএস -এর পুরাতন পরিত্যক্ত অফিসেই বিএসএনএল -এর অফিস চালু হয়। ১৯৮৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ওই পরিত্যাক্ত অফিসেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নামমাত্র চলছে বিএসএনএল -এর কাজকর্ম। বিএসএনএল -এর ওই অফিসটি চল্লিশ বছরের পুরনো হলেও কোন পরিবর্তন হয়নি।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে গন্ডাছড়া মহকুমার ওই অফিস বাড়িটি নির্মাণের জন্য কয়েক দফায় কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ছিটেফোঁটা কাজকর্ম ছাড়া ওই নড়বড়ে অফিসের কোন কাজই হয়নি। বর্তমানেও ওই নড়বড়ে অফিসটি চলছে। ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের গন্ডাছড়া মহকুমা অফিসের দায়িত্বে রয়েছেন রূপজিৎ দত্ত। বলা যায় একটি ভুতুড়ে বাড়িতে বসবাস করছেন রূপজিৎ বাবু।
গন্ডাছড়া মহকুমাবাসীদের মধ্যে বিএসএনএল ভোক্তাদের অভিযোগ সারা বছরের প্রতিটি মাসের প্রায় কুড়িদিনই বিএসএনএল -এর ইন্টারনেট পরিষেবা, মোবাইল পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। বিএসএনএল -এর ভোক্তাদের অভিযোগ উক্ত সংস্থার কিছু কিছু ভেন্ডার রয়েছে যারা প্রতিদিন বিএসএনএল অফিসটিকে মদ মাংসের আখড়ায় পরিণত করে। পুলিশ সব জানে কিন্তু নীরব ভূমিকায়। কারণ কি, কেউ জানেন না।
বুধবার ওই বিএসএনএল অফিসে গিয়ে দেখা যায় অফিসের ইনচার্জ রূপজিৎ দত্ত অফিসের গেইটে তালা ঝুলিয়ে ভিতরে চুপটি করে বসে রয়েছেন। ডাক দিতেই যেন গভীর ঘুম ভাঙলো রূপজিৎবাবুর। সাংবাদিক পরিচয় দিতেই সারা শরীরে ঘাম বেরুতে থাকে ইনচার্জ রূপজিৎ দত্তের। কিছু প্রশ্ন করতেই অগোছালো ভাবে উত্তর দিয়ে বললেন একঘন্টার মধ্যে আপনারা ইন্টারনেট পাবেন। জিজ্ঞাসা করা হয় কিভাবে পাওয়া যাবে? উত্তর দিতে গিয়ে রূপজিৎবাবু বললেন ধলাই জেলার আমবাসা থেকে বিএসএনএল কর্মীরা আসছেন। গ্রাহকদের দাবী বিএসএনএল এর এই অন্তর্জলিযাত্রা দ্রুত রুখতে হবে।