গন্ডাছড়া, ১৬ মার্চ। ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমায় বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি আইসিডিএস প্রজেক্টের বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে চলছে ব্যাপক দুর্নীতি এমনই অভিযোগ উঠেছে। আইসিডিএস দপ্তরে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে বেজায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
প্রসঙ্গত গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত ডুম্বুরনগর প্রজেক্টে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের সংখ্যা দুইশ ঊনচল্লিশটি। কয়েক মাস যাবৎ মহকুমার বিভিন্ন এডিসি ভিলেজের অন্তর্গত অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে ব্যাপক দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এমনই একটি দুর্নীতিযুক্ত অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের ছবি ধরা পড়ল। ওই সেন্টারটি হল গন্ডাছড়া মহকুমার মনোরঞ্জনদাস পাড়ার বড় বটবৃক্ষতলায় অবস্থিত অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার। ওই সেন্টারে খাতাপত্রে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছাব্বিশ জন।
কিন্ত আইসিডিএস -এর ওই সেন্টারে প্রতিদিন হাজির হচ্ছে দুই বা তিনজন ছাত্রছাত্রী। এত কম সংখ্যার ছাত্রছাত্রী উপস্থিত হওয়ার কারণ হিসাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার অভিভাবিকারা অভিযোগ করে জানান উক্ত সেন্টারের দিদিমনি এবং হেল্পারের আচার আচরণ অত্যন্ত বাজে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন না। দেওয়া হয়না ছাত্রছাত্রীদের টিফিন। দেওয়া হয় না ডিম।
ওই সেন্টারে আসা ছাত্রছাত্রীদের অত্যন্ত নিম্নমানের খিচুড়ি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ খিচুড়িতে মিলছে বড় বড় পোকা। খিচুড়ি খেতে বসে পাতে বড় বড় পোকা পাওয়ার দৃশ্য দিদিমনিকে বা হেল্পারকে বললে বা দেখালে মারধোর সহ্য করতে হয় শিশুদের। ফলে ওই সেন্টারে এখন আর ছাত্রছাত্রীরা আসতে চায় না। ওই অঙ্গনওয়ারি সেন্টারে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছাব্বিশ জন থাকলেও উপস্থিতির সংখ্যা দুই বা তিনজন।
উক্ত সেন্টারের দুর্নীতি, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দিদিমনি এবং হেল্পারের অনৈতিক আচার আচরণের কথা বারবার গন্ডাছড়া মহকুমার ডুম্বুরনগর আইসিডিএস প্রজেক্ট অফিসে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। সুপারভাইজিং অফিসারও কোন এক অজ্ঞাত কারণে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।