কল্যাণপুর, ১৪ মার্চ।। কৃষকরা হচ্ছেন দেশের অন্নদাতা। কৃষকদের সার্বিক বিকাশ ও তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে কেন্দ্র ও রাজ্যের বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ কল্যাণপুর ব্লকের দক্ষিণ দূর্গাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের রতিয়ায় গ্রামীণ কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের দ্বিতল ভবন এবং ঘিলাতলীতে গ্রামীণ প্রাইমারি মার্কেটের নতুন বাড়ির উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন।
এছাড়াও কৃষিমন্ত্রী আজ কল্যাণপুর বাজারে কল্যাণপুর প্রাথমিক গ্রামীণ বাজারের নতুন দ্বিতল ভবনেরও উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানগুলিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের কাছে কৃষি সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত জ্ঞান পৌঁছে দিতে কৃষক বন্ধু কেন্দ্র, কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র, সয়েল টেস্টিং সেন্টার ও এগ্রি ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ কাম ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, নতুন নতুন কারিগরি বিষয় ও বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
তিনি বলেন, রাজ্যে এরকম ৮৩টি কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় সয়েল টেস্টিং সেন্টার গড়ে তোলা হবে। এই মুহুর্তে রাজ্যের ৫ জেলায় সয়েল টেস্টিং সেন্টার রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে রাজ্যে কৃষি মার্কেট রয়েছে ৫৫৪টি। এর মধ্যে প্রাথমিক হোল সেল মার্কেট রয়েছে ৮৪টি, গ্রামীণ বাজার রয়েছে ৪৭০টি। গত সাড়ে পাঁচ বছরে বিভিন্ন বাজার তৈরী ও এগুলির উন্নয়ন খ্যাতে সরকার প্রয় ১৬৭ কোটি টাকা খরচ করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী আগামীদিনে রাজ্য সরকার কল্যাণপুরের উন্নয়নে আরও নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। এই অনুষ্ঠানগুলিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা সরদিন্দু দাস। গ্রামীণ কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের দ্বিতল ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৪ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। বিলাতলী প্রাথমিক গ্রামীণ বাজারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮৬ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। কল্যাণপুর প্রাথমিক গ্রামীণ বাজারের দ্বিতল ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ২ হাজার ৮৪৭ টাকা। অনুষ্ঠানগুলিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণপুর বিএসি’র চেয়ারম্যান ইন্দ্রানী দেববর্মা, কল্যাণপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সৌমেন গোপ, কল্যাণপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব পাল প্রমুখ।