কৈলাসহর, ১১ মার্চ।। রাজ্যের সার্বিক বিকাশে সরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। বর্তমান সরকার স্বচ্ছতার সাথে উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে দুর্নীতিকে কখনও প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। এই সরকার হলো মানুষের সমস্যা সমাধানের সরকার। আজ ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করে বৈদ্যনাথ মজুমদার স্মৃতি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আজ ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর মহকুমায় ধনবিলাস উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ৬টি শ্রেণীকক্ষ, পঞ্চমনগর হাইস্কুলে নবনির্মিত দ্বিতল ভবন, কণিকা মেমোরিয়াল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য কোয়ার্টার কমপ্লেক্স, বেলকুমবাড়ি ইংরেজি মাধ্যম উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবনির্মিত দ্বিতল ভবন ও বৈদ্যনাথ মজুমদার স্মৃতি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে ৩টি সায়েন্স ল্যাব ও ১টি অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষেরও উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানগুলিতে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায়, কৈলাসহর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়, জেলাশাসক ডি কে চাকমা, পুলিশ সুপার কান্তা জাঙ্গির, সিএমও শীর্ষেন্দু চাকমা, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা নৃপেন্দ্র চন্দ্র শর্মা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, সরকার চাইছে শিক্ষা সহ সবক্ষেত্রে পরিকাঠামোর উন্নয়ন। এবছর বাজেটে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য গত বছরের তুলনায় অধিক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। শিক্ষার পরিকাঠামোর সাথে সাথে খেলাধুলার পরিকাঠামো উন্নয়নেও গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে রাজ্যে মাত্র একটা জাতীয় সড়ক ছিল। এখন অনেকগুলি জাতীয় সড়ক তৈরি করা হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির জন্য। রাজ্যে এখন রেল যোগাযোগে বৈদ্যুতিকরণ করা হচ্ছে। এই কাজ ইতিমধ্যেই অনেকটা এগিয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই আকাশপথে চট্টগ্রামের সাথে ত্রিপুরার যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনার মাধ্যমে রাজ্যের ১৩ লক্ষ মানুষকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনা হয়েছে। রাজ্যে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনা চালু করা হয়েছে। এই যোজনায় কর্মচারি সহ যারা প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনার আওতায় আসতে পারেননি তাদেরকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যুব শক্তির বিকাশ, গরীব অংশের মানুষের কল্যাণ, মহিলা স্বশক্তিকরণ ও কৃষকের কল্যাণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে রাজ্যে ৫১ হাজারের উপর স্বসহায়ক দল গঠন করা হয়েছে। আর এসব কিছু করা হচ্ছে স্বচ্ছতা নিয়ে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, কৈলাসহর মহকুমার সোনামুখী চা বাগান এলাকায় আগামী ২ বছরে অনেক উন্নয়ন করা হবে। এখানে খুব শীঘ্রই জেলাশাসক, পুলিশ সুপার সহ অনেক অফিস বাড়ি নতুন করে তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, চা বাগানের প্রায় ২ হাজার পরিবারকে জমির বন্দোবস্ত করে দিয়ে তাদের জন্য ঘর, পানীয়জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।