ধর্মনগর, ৭ মার্চ।। কৃষকদের সবরকম সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে সরকার। কৃষকদের আয় বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য কৃষকদের আত্মনির্ভর করা। কৃষকরা আত্মনির্ভর হলে ত্রিপুরা আত্মনির্ভর হবে। আজ উত্তর ত্রিপুরা জেলায় যুবরাজনগর কৃষি মহকুমা কার্যালয়ের উদ্বোধন করে একথা বলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ।
ধর্মনগরের হাফলংয়ে যুবরাজনগর ব্লকের পুরাতন কার্যালয়ে চালু করা হয় রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের ৪৭তম কৃষি মহকুমা কার্যালয়টি। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক মলিনা দেবনাথ, সমাজসেবী নান্টু গোস্বামী, উদ্যান পালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ফনীভূষণ জমাতিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস। সভাপতিত্ব করেন যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ আরও বলেন, এই কৃষি মহকুমা কার্যালয় চালু হওয়ায় যুবরাজনগর ব্লকের ১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও তিনটি এডিসি ভিলেজের ৬,৭৯৩ জন কৃষক উপকৃত হবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাইছেন কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে। এজন্য কৃষকদের সহায়তায় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি যোজনায় যুবরাজনগর ব্লকের ৬,৮৫২ জন কৃষক সুবিধা পাচ্ছেন।
কৃষিজমি প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। যুবরাজনগর ব্লকের ৩ হাজার ৬৬ জন কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রায় ১২ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। সরকার চাইছে কৃষকরা স্বনির্ভর হোক। কৃষকদের উদ্দেশ্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোন জমি চাষ না করে ফেলে রাখা যাবে না। অনাবাদি কৃষি জমিকে চাষের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এদিন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ ধর্মনগরের বাগবাসায় কৃষকদের জন্য একটি ভিলেজ নলেজ সেন্টারের উদ্বোধনও করেন।