উদয়পুর, ২৯ ফেব্রুয়ারী।। গোমতী জেলার উদয়পুর রাজারবাগ এলাকায় উদয়পুর পুরপরিষদের তত্ত্বাবধানে নিলাম নিয়ে শাসক দলীয় যুবকদের মধ্যে চরম বাকবিতন্ডা চলছে। রাতারাতি তড়িঘড়ি নিলাম সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে অন্তর্কোন্দলের জন্ম দিয়েছে রাজারবাগ এলাকায়।
সরকারি সম্পত্তি নিলামের কিছু বিধি-নিষেধ থাকে। যেকোনো সম্পত্তির নির্ধারিত একটা দামদর থাকে এবং সেসব কিছু প্রকাশ্যে নিলাম করা হয়। কিন্তু নিলামের কোন আগাম নোটিশ নেই, প্রকাশ্যে নিলামের দরকষাকষি করতে কেউ দেখেনি অথচ আচমকা রাজারবাগনিবাসী পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ দেবনাথের নামে নিলাম পাওয়ার কথা জানতেই এলাকার বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, গত শনিবার ও রবিবার পরপর দুইদিন অফিস বন্ধ থাকার পর আচমকা সোমবার নগর পঞ্চায়েত থেকে উদয়পুরের লোকজন জানতে পারে যে উদয়পুরের রাজারবাগ এলাকার কমিউনিটি হল, ইলেকট্রিক সাব অফিস লাইব্রেরী, পোস্ট অফিস কক্ষ, সারের অফিস ইত্যাদি নিলাম হয়ে গেছে। সেসব কিছুর নিলামি পেয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ দেবনাথ। কি করে এমন সম্ভব হলো। রাতারাতি নিলামের কোন নোটিশ কেউ দেখেনি। প্রকাশ্যে নিলামের দরকষাকষি হয়নি এবং কোন রকমের কোন পূর্বাভাস ছাড়াই এমন ঘোষণায় শাসকদলের যুবকদের মধ্যে তীব্র মতানৈক্য তৈরি হয়েছে।
এলাকার যুবকদের মতে ইচ্ছাকৃতভাবে এবং অবৈধ পদ্ধতিতে প্রদীপ দেবনাথকে এই নিলামি দেওয়া হয়েছে এবং এতে সরকারি অর্থ চরমভাবে নয়ছয় করা হয়েছে। এলাকার শাসকদলের যুবকেরা এই অন্যায় কাজে বাধা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রদীপ দেবনাথের ক্ষমতার দাপটকে ভেদ করে কিছুই করতে পারেনি বলে অভিযোগ। মাত্র ৪২০০০ টাকার বিনিময়ে প্রদীপ দেবনাথ এত বড় সম্পত্তির নিলাম পেয়েছে। এলাকার মানুষের এবং ইঞ্জিনিয়ারদের মতে এর নিলাম অন্তত ১০-১২ লাখ টাকার কম হওয়ার কথা ছিল না।
লোকমুখে প্রচার, প্রদীপ দেবনাথ এই ঠিকেদারি নিলামের পিছনে রাজারবাগের কয়েকজন সমাজদ্রোহীর হাত রয়েছে। সমগ্র ঘটনা জানাজানি হবার পরেও পুরপরিষদের চেয়ারম্যান তথা বহুল প্রচলিত সজ্জন ব্যক্তি শীতল চন্দ্র মজুমদার এই বিষয়ে একটি কথাও বলেননি। সমাজ প্রেমীদের মতে এই রকমের অবৈধ নিলামি সরকারি অর্থ নয়ছয় করা ছাড়া আর কোন কিছুই নয়।