খোয়াই, ২৬ ফেব্রুয়ারী।। আমরা কারোর চেয়ে কম নই। এই বিশ্বাসবোধ মেয়েদের মধ্যে জাগ্রত করার লক্ষ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যের বর্তমান সরকার কাজ করছে। মেয়েদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আজ খোয়াই সরকারি বালক দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় মাঠে তিনিদিন ব্যাপী খোয়াই জেলাভিত্তিক সরস মেলা ও খোয়াই নতুন টাউনহলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও সচেতনতা সৃষ্টি করতে ‘চেষ্টা’ অভিযান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠান দুটিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহিলাদের উন্নয়ন না হলে সমাজ বিকশিত হতে পারেনা। একটা সময় ছিল যখন বেকারদের ঋণ পাবার জন্য প্রতিদিন ব্যাঙ্কে ছুটতে হত। এখন স্বসহায়ক গোষ্ঠীগুলি সহজেই ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে ঋণ পাচ্ছে এবং সেই অর্থ তারা স্বনির্ভর হওয়ার পথে কাজে লাগাচ্ছে। এই গোষ্ঠীগুলি সময়মত ঋণ পরিশোধও করছে। তিনি বলেন, এখন রাজ্যে ৫১,৩৬৪ টি স্বসহায়ক দল রয়েছে। এই দলগুলির সঙ্গে ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৬৬ জন মহিলা যুক্ত রয়েছেন। মহিলারা এখন শুধু হাঁস-মোরগই পালন করছেননা, পরিবহণের মত ব্যবসার সাথেও তারা যুক্ত রয়েছেন। সবকা সাথ সবকা বিকাশের যে নীতি নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে তার জন্যই এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সরকার সবার এই ভাবনা যেন সবার মধ্যে আসে, সেজন্য সমাজের সব অংশের মানুষের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই লক্ষ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার মত প্রকল্পে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ সমাজের ব্যাধি। এই ব্যাধি থেকে সমাজকে মুক্ত করার জন্য রাজ্য সরকার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এর জন্য সমাজের সব অংশের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। অল্প বয়সে বিয়ে দিলে শুধু ঐ মেয়েটি বা তার পরিবারই নয় গোটা সমাজ বিপন্ন হয়। মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
জেলাভিত্তিক সরস মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তিনটি স্বসহায়ক দলের সদস্যদের হাতে তিনটি কমন সার্ভিস ভ্যানের চাবি তুলে দেন। দুটি অনুষ্ঠানেই অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, জেলাশাসক চাঁদনী চন্দ্রান, পুলিশ সুপার ড. রমেশ চন্দ্র যাদব প্রমুখ। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী এদিন খোয়াইয়ের ধলাবিলে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ভূমি পূজা করেন। ৬.৯৪ একর জমিতে এই কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে।