পরকীয়ায় লিপ্ত স্বামীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ সুবিচার চাইতে থানার দ্বারস্থ

বিলোনিয়া, ১৩ ফেব্রুয়ারী।। প্রকাশ্য রাস্তায় গৃহবধুকে মারধর করে নাবালক ছেলেকে জোরপূর্বক রেখে দিয়ে স্ত্রীকে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে বিলোনিয়া মহিলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া থানা এলাকার নলুয়া অভয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা পেশায় অভয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের জি আর এস সম্ভু মজুমদারের সাথে পি আর বাড়ী থানার অন্তর্গত বড়পাথরীর সুপর্না নন্দীর ২০১১ সালে সামাজিক বিয়ে হয়। বিয়ের পর বেশ কিছু সময় তাদের সাংসারিক জীবন ভালো চললেও পরে শুরু হয় গৃহবধুর উপর কখনো টাকার জন্য কখনোবা নানা অজুহাতে স্ত্রী সুপর্না নন্দী মজুমদারের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।

গরীব পরিবারের মেয়ে ঘরে তাদের ৫ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ছেলের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা চিন্তা করে স্বামী শ্বশুর শাশুড়ির নানা অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করতো সুপর্না। এরই মধ্যে সুপর্না জানতে পারে শম্ভু একাধিক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। শম্ভুর অবৈধ সম্পর্কের সাথী কিছু ছবি শম্ভুর স্ত্রী সুপর্না নন্দী মজুমদারের মোবাইলে পাঠায়। অভিযোগ বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া মহিলা সুপর্নাকে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলে অতিদ্রুত সে যেন শম্ভু মজুমদারকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। শম্ভু এখন তার হবু স্বামী। সুপর্না ডিভোর্স দিলেই জনৈক মহিলা শম্ভুকে বিয়ে করে সুখের শংসার করবে।

বিষয়টি সম্পর্কে শম্ভুর স্ত্রী শম্ভুর কাছে জানতে চাইলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ্য দিবালোকে শম্ভু সহ তার পরিবারের সদস্যরা শম্ভুর স্ত্রী অর্থাৎ সুপর্না নন্দী মজুমদারকে বাড়ীতে প্রচন্ড মারধর করতে থাকে। নিজেকে বাঁচাতে রাস্তায় ছুটে এলে শম্ভু প্রকাশ্য রাস্তায় দৌড়াতে দৌড়াতে তার স্ত্রীকে মারতে থাকে। খবর পেয়ে ঋষ্যমুখ ফাড়ির পুলিশ সুপর্নাকে তার স্বামী শম্ভুর হাত থেকে রক্ষা করে। পরে সুপর্না স্বামীর বাড়ীতে যেতে চাইলে তাকে বাড়ীতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি তার মোবাই পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়।

শম্ভুর স্ত্রী তাদের ৫ বছরের শিশু সন্তানকে আনতে চাইলে শম্ভু সহ তার পরিবারের সদস্যরা জোরপূর্বক শিশুটি আটকে রেখে সুপর্না নন্দী মজুমদারকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে সুপর্না তার বাবার বাড়ী বড়পাথরীতে রয়েছে। বিস্তারিত বিষয় জানিয়ে বিলোনিয়া মহিলা থানায় শম্ভু মজুমদার সহ শ্বশুর শাশুড়ির ও অনান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে সুপর্না নন্দী মজুমদার। অবশেষে মঙ্গলবার বিলোনীয়া মহিলা থানার পুলিশ অভিযোগ রেজেষ্টি করে এবং মামলার তদন্ত শুরু করেছে বলে পুলিশ জানায়। তবে খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?