বিলোনিয়া, ৭ ফেব্রুয়ারী।। সীমান্ত রক্ষীবাহিনী থাকা সত্ত্বেও সুরক্ষিত নয় দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়া মহাকুমার সীমান্তবর্তী এলাকা। বিলোনিয়ার দক্ষিণে আমজাদ নগর, মতাই, ঋষ্যমূখ, নলুয়া এবং শহর লাগোয়া সীমান্ত এলাকা সহ আইসি নগর বড়টিলা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে হাজার হাজার কেজি চিনি প্রচার হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অনায়াসে প্রতিদিন অবৈধভাবে এপার ওপার হচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিক।
মঙ্গলবার গভীর রাতে আবারও প্রমাণ হল ঋষ্যমুখ ব্লকের দেবীপুরের ৩জন বাংলাদেশী নাগরিক আটকের ঘটনা থেকে। বিলোনিয়া থানাধীন ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা দেবীপুর। এই সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্দেহ ভাজন চার ব্যাক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখে এলাকাবাসীরা খবর দেয় ঋষ্যমুখ পুলিশ ফাঁড়িতে। এই খবর পেয়ে ঋষ্যমুখ পুলিশ ফাঁড়ির দেবীপুর এলাকায় অভিযান চালালে পুলিশকে দেখে চার জনের মধ্যে একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তিন জনকে আটক করে পুলিশ। এই তিন জনের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিকত্ব পরিচয় পত্র দেখানোর পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তার কাগজপত্র সঠিক কিনা এবং কারা এই পাচার বাণিজ্যের সাথে জড়িত।
আটক তিনজনকে বিলোনিয়া থানায় তুলে দিলে ধৃতদের ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে বুধবার দুপুরে বিলোনিয়া আদালতে সোপার্দ করেন পুলিশ। ধৃতরা হলো উষা রঞ্জন দাস, নয়ন দাস উভয়ের বাড়ী বাংলাদেশের ফেনি জেলার সোনা গাজী এলাকায় এবং অন্য একজন ভারতীয় যুবক সুজন দাস। তার বাড়ী মনুবাজার থানাধীন কালাছড়া এলাকায়।