আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারী।। রাজ্যে যে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণের কাজ চলছে তা মিশন মুডে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। তাছাড়াও যে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়িত হয়ে গেছে সেগুলির নিয়মিত ফলো আপ করারও প্রয়োজন রয়েছে। তাহলেই রাজ্যের মানুষ প্রকল্পগুলির দ্বারা সঠিকভাবে উপকৃত হতে পারবেন।
আজ আগরতলার ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী স্মরণিস্থিত ত্রিপুরা ইস্টিটিউশন ফর ট্রান্সফরমেশন (টিআইএফটি) কার্যালয়ের চিফ মিনিস্টার ওয়ার রুমে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। সভায় রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণে জেলাশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংশ্লিষ্ট জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন।
সভায় টিআইএফটি-র সিইও কিরণ গিত্যে প্রথম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সভায় মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের পরিকাঠামো উন্নতিকল্পে আরও অর্থ চাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, মন্দিরের উন্নতির স্বার্থে আরও অর্থ প্রদানের জন্য ইতিমধ্যেই ডোনার মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের দ্রুত প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের জাতীয় সড়কগুলির নির্মাণের অগ্রগতির বিষয়েও খোঁজখবর নেন। এ প্রসঙ্গে সচিব কিরণ গিত্যে জানান, জাতীয় সড়কগুলির কাজ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজও দ্রুতগুতিতে চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে রোপওয়েগুলির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। আগরতলা স্মার্টসিটি প্রকল্পের অগ্রগতি মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা হয়। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগরতলা শহরে সিসিটিভিগুলি সঠিকভাবে চলছে কিনা তা নিয়মিত তদারকি করা প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্থানে সিসিটিভি লাগানোর জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। তিনি এয়ারপোর্ট সড়কের পাশে সৌন্দর্যায়নের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় টিআইএফটি-র সিইও কিরণ গিত্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (আরবান), প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ), সামিত্ব প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি, পিএমইজিপি, মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। সভায় মুখ্যসচিব জে কে সিনহা জেলার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে বিশেষ নিদর্শনের জন্য প্রধানমন্ত্রী অ্যাওয়ার্ডের প্রস্তাব পাঠানোর কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন।
সভায় রাজস্ব দপ্তরের প্রধান সচিব পুনিত আগরওয়াল, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, পূর্ত দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, গ্রামোন্নোয়ন দপ্তরের সচিব ড. সন্দীপ আর রাঠোর, মুখ্যমন্ত্রীর ওএসডি পরমানন্দ সরকার ব্যানার্জী, বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।