সোনামুড়া, ২৯ জানুয়ারি।। স্বামীর অত্যাচারে স্ত্রীর মুমূর্ষ অবস্থা। খবর পেয়ে গৃহবধূর পিতা তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে আসে প্রথমে সিপাহীজলা জেলার যাত্রাপুর থানায় পুলিশের কাছে। পুলিশের পরামর্শে নিয়ে যায় তড়িঘড়ি কাঁঠালিয়া সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ডাক্তার রেফার করেন আগরতলা জিবি হাসপাতালে। তবে আঘাত এতটাই গুরুতর উন্নত চিকিৎসা না হলে এই মহিলাকে বাঁচানোই কষ্টকর হবে। অপরদিকে, পাষণ্ড স্বামীকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় এলাকায়।
ঘটনা, যাত্রাপুর থানা এলাকার বড়নারায়ণ গ্রামে। স্বামীর নাম অঞ্জন দাস। পিতা – অনিল দাস। পাঁচ বছর আগে কাঁঠালিয়ার খগেন্দ্র চন্দ্র বনিকের মেয়ে পলি রানী বণিকের বিয়ে হয় অঞ্জনের সাথে। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই শুরু হয় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক ঝামেলা।
তবে গৃহবধুর বাবার অভিযোগ ঠিক মতন উনার জামাই নাকি বাজার থেকে চাল, ডাল, সবজি,তৈল বা অন্যান্য জিনিসপত্র সময় মতো বাড়িতে পৌঁছায় না। গৃহবধূ তীর্থের কাকের মত বসে থাকে রান্নার জন্য। কিছু বলাবলি করলেই স্ত্রীর উপর আক্রমণ চালায়। এভাবে বেশ কয়েক বছর অশান্তি থাকার পরও স্বামীর বিরুদ্ধে অন্যের কাছে মুখ খুলেনি। শুধু গৃহবধুর বাবা এবং মা এই ঘটনাগুলি জানে। তারমধ্যে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়, বয়স দুই বছর।
সোমবার ভোরে কোন একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে গৃহবধুর স্বামী লাঠি হাতে নিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে এবং দেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। মহিলা রক্তাক্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রতিবেশীরা খবর জানায় বাপের বাড়িতে। খবর পেয়ে ছুটে যায় মহিলার বাবা খগেন্দ্র চন্দ্র বনিক। চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় হাসপাতালে। এই ব্যাপারে যাত্রাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।