কুমারঘাট, ১৮ জানুয়ারি।। ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শাসনে মানুষের যা উন্নয়ন হয়নি বিজেপির মাত্র পাঁচ বছরেই এর থেকে বেশি উন্নয়নের দিশা দেখছেন মানুষ। রাজ্যের মানুষের জন্য নয়, নিজেদের দলের জন্য করার মানসিকতা ছিল বামেদের। এই সংকীর্ন মানষিকতার কারনেই টানা বাম শাসনে ত্রিপুরায় হোচট খেয়েছে উন্নয়ন। বৃহষ্পতিবার এভাবেই বিরোধী সিপিআইএমকে কাঠগড়ায় তুললেন ত্রিপুরার বর্তমান কেবিনেট মন্ত্রী তথা ফটিকরায় বিধানসভার বিধায়ক সুধাংশু দাস।
এদিন ঊনকোটি জেলার জগন্নাথপুর তেলিয়া স্কুলমাঠে বিজেপি ফটিকরায় মণ্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত এক যোগদান সভায় বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস। সেই সভাতে লাল ঝাণ্ডার সঙ্গ ছেড়ে ১২৭ জন ভোটার যোগ দিলেন বিজেপি দলে। নবাগতদের দলীয় পতাকায় স্বাগত জানান মন্ত্রী সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। সভায় আলোচনা রাখতে গিয়ে বিরোধী সিপিএমকে নিশানা করে তীব্র হুঙ্কার দেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস। তিনি বিজেপির উন্নয়নের তুলনা টেনে অভিযোগ করেন ত্রিপুরার ২৫ বছরের বাম শাসনে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি মানুষের। বিজেপির শাসনে এর থেকে অনেকগুন বেশি উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
তিনি অভিযোগ করেন, সিপিএম ভোটারদেরকে ললিপপ দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে রাজনীতি করে গেছে। বামেদের কোন নীতি আদর্শ এমনকি নেতার বালাই নেই। কংগ্রেসের অবস্থাও তথৈবচ বলে এদিন কংগ্রেস দলকেও নানান ঈস্যুতে বিঁধতে ছাড়েননি মন্ত্রী সুধাংশু দাস। এদিন বিজেপির শাসনে নিজ বিধানসভা ফটিকরায়ের অভূতপূর্ব উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মন্ত্রী। এদিন নবাগতদের উদ্দেশ্যেও একপ্রকার কড়া বার্তা দিলেন মন্ত্রী। সরকারী সুযোগ সুবিধা নেওয়ার বাসনা নিয়ে বিজেপি দলে আসার কোন প্রয়োজন নেই। সাবকা সাথ, সাবকা বিকাশের দিশায় চলা বর্তমান সরকারের সমস্ত সুবিধা বাড়ীতে বসেই সবার ঘরে পৌছে যাবে। এটাই সু-শাসন বলে এদিন সভায় জোর গলায় দাবি করেন মন্ত্রী।
এদিনের সভায় মন্ত্রী ছাড়াও অন্যান্য নেতৃত্বদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিজেপির মণ্ডল সভাপতি নিলকান্ত সিনহা, মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক মনোজ পালচৌধুরী, স্থানীয় বুথ সভাপতি রঞ্জিত চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। সামনেই লোকসভা ভোট।