শান্তিরবাজার, ১৯ জানুয়ারি।। শুধু খাদ্যশষ্য নয় সব্জি ও বীজ উৎপাদনেও রাজ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে। সরকার কৃষকদের আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য সব ধরণের সাহায্য দেবে। আজ শান্তিরবাজার মহকুমার বেতাগা ও মহুরীপুর পঞ্চায়েতে কৃষকদের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন।
দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াৎ, দক্ষিণ ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি কাকলি দাস দত্ত, বগাফা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীদাম দাস এবং শান্তিরবাজার পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন স্বপ্না বৈদ্য প্রমুখ।
কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে কম জমিতে দ্বিগুণ ফসল ফলানো সম্ভব। একই জমিতে দু-তিনবার ফসল উৎপাদন করে ত্রিপুরাকে খাদ্যে স্বনির্ভর করতে হবে। কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের জমি ফেলে না রেখে পতিত জমিতেও ফসল ফলানোর পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন ভূমি ও উদ্যান দপ্তরের উপ অধিকর্তা রাজীব ঘোষ। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বেতাগা পঞ্চায়েতে ১ হেক্টর জমিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রদর্শনীমূলক উন্নত জাতের আলুর চাষ করা হচ্ছে। এই চাষে যুক্ত রয়েছেন ২০ জন কৃষক। মুহুরীপুর পঞ্চায়েতে ২৫০ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল বোরো ধানের প্রদর্শনীমূলক চাষ করা হচ্ছে। ৬৮০ জন কৃষক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বোরো ধানের চাষ করছেন। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ আজ দুটি পঞ্চায়েতে সব্জি ও ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময়ও কৃষকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন ও চাষাবাদ সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।