জোলাইবাড়ি, ১৯ জানুয়ারি।। পিলাক সভ্যতা হলো হিন্দু ও বৌদ্ধ সভ্যতার মিলনস্থল। সুপ্রাচীন এই সভ্যতাকে রক্ষা করতে হবে। প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে অবলম্বন করেই বর্তমান আধুনিক সভ্যতা গড়ে উঠে। আজ পশ্চিম পিলাক দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের মাঠে পিলাক প্রত্ন ও পর্যটন উৎসবের উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, বিধায়ক স্বপ্না মজুমদার, বিধায়ক মাইলায়ু মগ, দক্ষিণ ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি কাকলি দাস দত্ত প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জোলাইবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রবি নম:।
অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ আরও বলেন, আমরা আমাদের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ভুলতে পারি না। রামায়ণ, মহাভারতকে ভুলে গেলে চলবে না। আমাদের দেশীয় পণ্য সামগ্রীকে ভুলে গেলে চলবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভোকাল ফর লোকাল। তাই দেশীয় পণ্য সামগ্রী উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আধুনিক হও কিন্তু নিজের সভ্যতা ও সংস্কৃতি ভুললে চলবে না। তিনি বলেন, ভারতীয় বৈদিক সভ্যতা ও সিন্ধু সভ্যতা বহু প্রাচীন সভ্যতা। ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ পিলাকে খনন কার্য করে ঠাকুরাণীটিলায় সূর্য, গণেশ, শিব এবং বহু মূর্তি পেয়েছে। এ সমস্ত মূর্তির মধ্যে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের মিল পাওয়া গেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক শম্ভু মাণিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শান্তিরবাজার মহকুমার মহকুমা শাসক অভেদানন্দ বৈদ্য। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট লেখক অভিক কুমার দে ও টিএসআর জওয়ান পিন্টু দাসকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ ও সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া তাদের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন। পিলাক প্রত্ন ও পর্যটন উৎসব উপলক্ষে ১২টি সরকারি দপ্তর থেকে প্রদর্শনী মন্ডপ খোলা হয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর ৩দিনব্যাপী মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আগামী ২১ জানুয়ারি পিলাক প্রত্ন ও পর্যটন উৎসবের সমাপ্তি হবে।