কুমারঘাট, ১৭ জানুয়ারি।। সিপিএম এবং কংগ্রেস দল প্রতারক, বিশ্বাসঘাতক। এরা কখনোই ত্রিপুরার জনজাতিদের উন্নয়ন চায়নি। কংগ্রেস-সিপিএম জনজাতিদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যাবহার করতো। বুধবার ত্রিপুরায় বিজেপির একটি যোগদান সভায় ঠিক এই ভাষাতেই বাম-কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমন করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপি বিধায়ক ভগবান দাস।
সামনেই লোকসভা ভোট। নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই চিরাচরিত ভাবে ত্রিপুরায় শুরু হয়েছে দলবদলের পালা। কোথাও ছোট্ট একটা অংশের ভোটার যোগ দিচ্ছেন শাসক থেকে বিরোধী দলে আবার কোথাওবা অধিকাংশ ভোটারই যোগ দিচ্ছেন শাসক গেরুয়া শিবিরে। বুধবার ঊনকোটি জেলায় এমনই এক দলবদল সভার আয়োজন করে বিজেপি। পাবিয়াছড়া বিধানসভার দক্ষীণ মাছমারায় হয় এই যোগদান সভা। স্থানীয় স্কুলমাঠে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এলাকার বর্তমান বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস, উপজাতি স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের সদস্য স্বপ্না রানী দাস, স্থানীয় বুথ সভাপতি জয়মনি রিয়াং সহ অন্যান্যরা। সভায় সিপিএম, কংগ্রেস এবং তিপ্রামথা দলকে গুডবাই বলেদিয়ে ৬৪ পরিবারের তিন শতাধিক ভোটার যোগ দিলেন বিজেপি দলে। নবাগতদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিয়ে তাদের দলে স্বাগত জানান বিধায়ক ভগবান দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
এদিনের এই দলবদল সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী বাম-কংগ্রেস এবং এডিসির ক্ষমতাসীন তিপ্রামথা দলকে তীব্র সমালোচনা করেন বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস। তিনি অভিযোগ করেন, ত্রিপুরার দীর্ঘ সময়ের ক্ষমতাসীন সিপিআইএম এবং কংগ্রেস জনজাতিদের ব্যাবহার করতো ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে। জনজাতি এলাকার উন্নয়ন তারা কখনোই চায়নি। এরা প্রতারক, বিশ্বাসঘাতক বলে এদিন প্রকাশ্যেই অভিযোগের সুর চড়ালেন ভগবান দাস। তিনি এও বলেন, ত্রিপুরার ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন ছিলো শুভ শক্তি বিজেপির সাথে অশুভ শক্তি বাম-কংগ্রেসের লড়াই। এই লড়াইয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে মানে ত্রিপুরায় আর কোনদিন কোন রাজনৈতিক দলকে মানুষ সুযোগ দেবেনা বলেও এদিন দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে বললেন ভগবান দাস।
তিনি আরও বলেন, বিজেপি জনজাতিদের কথা মাথায় রেখে এডিসি এলাকার উন্নয়নে সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজেপি যা বলে তাই করে দেখায় বলেও এদিন সভায় খোলসা করে বললেন ভগবান দাস।ত্রিপুরায় মূলত এডিসি এলাকাকে ভর করেই ভোটের শতাংশের হিসেবটা হয়ে আসছে সেই দীর্ঘ আমল থেকেই। পাহাড় যার,রাজ্যও তার। এমন প্রবাদই চলতো ত্রিপুরার রাজনীতিতে। এবারে বিজেপির উন্নয়নের দিশাতে ভর করেই সহজ সরল উপজাতি ভোটাররা দিকে দিকে যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে।