বক্সনগর, ৪ জানুয়ারি।। সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া থানার পুলিশ গাঁজা বাগান কাটিং করার কাজ অব্যাহত রেখেছে। তবে গাঁজা বাগান ধ্বংস করার কাজ পুলিশ কবে শেষ করতে পারবে সেটা অনিশ্চিত। সোনামুড়া থানার উত্তরে কমলনগর, লচার বাড়ি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার জঙ্গলে নাকি এক লক্ষ ১৭ হাজার অবৈধভাবে গড়ে তোলা গাঁজা বাগান কেটে ধ্বংস করেছে তিন বাহিনী জওয়ানরা। এমনটাই দাবি করেন সোনামুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার পরিতোষ দাস।
তিনি আরো জানিয়েছেন গোপন খবর পেলে গাঁজা বাগান রাখা হবে না। কারণ আরক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট নির্দেশ থানা এলাকাতে যেন কোথাও গাঁজা বাগান না থাকে। নির্দেশ মোতাবেক কিছুদিন পর পর বিশাল বাহিনী নিয়ে হাজির হয় জঙ্গল এলাকায় গাঁজা বাগান ধ্বংস করার জন্য। লক্ষ্য একটাই নেশা মুক্ত সমাজ গড়া।
তবে, দুই এক দিন পর পর পুলিশ বিশাল বাহিনী নিয়ে গাঁজা বাগান ধ্বংস করার বিষয়টি সমাজের একটা অংশ মানুষ সমালোচনায় মুখর। মানুষের বক্তব্য,জঙ্গল এলাকায় যখন গাঁজা বাগান গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলে তখন কেন বনদপ্তর নীরব ছিল? আর এখন গাঁজা চাষীদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে প্রচুর অর্থ খরচ করে ফল আসার সময় হয়েছে এই সময়তে গাছগুলি কেটে লাভটা কি হলো!
লক্ষণীয় বিষয় হল, গত কয়েক বছর ধরে এই জাতীয় গাঁজা বাগান অভিযান পুলিশ ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে আসছে। কিন্তু কমছে না,আদৌ গাঁজা বাগান গড়ে তোলার পেছনে রহস্যটা কি রয়েছে মানুষ জানতে চায়। শুধুমাত্র গাঁজ বাগান ধ্বংস করলেই কি নেশা মুক্ত ত্রিপুরা হবে। এনিয়ে নাও প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সোনামুড়া থানার পুলিশ অফিসার জানান, এদিন সর্বসাকুল্য ৫০ জনের উপর ছিল জওয়ান। তারমধ্যে টিএসআর,সিআরপিএফ এবং থানার কনস্টেবল মিলে বেলা ১১ টা থেকে বিকেল চারটা অব্দি প্রায় পঞ্চাশ একর লুঙা ভূমি ও টিলা ভূমিতে গড়ে তোলা গাঁজা বাগান কেটে নির্বিঘ্নে জওয়ানরা থানায় ফিরে আসে। পরিতোষ বাবু জানিয়েছেন এই ধরনের অভিযান আগামী দিনেও চলবে।