আগরতলা, ৩০ ডিসেম্বর।। রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেডিড নালু আজ খুমলুঙে ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের সচিবালয়ের ২নং কনফারেন্স হলে এক সভায় মিলিত হন। জেলা পরিষদের ২নং কনফারেন্স হলে রাজ্যপালকে স্বাগত জানান স্বশাসিত জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য কমল কলই, কার্যনির্বাহী সদস্য ডলি রিয়াৎ, কার্যনির্বাহী সদস্য সোহেল দেববর্মা, কার্যনির্বাহী সদস্য অনন্ত দেববর্মা, কার্যনির্বাহী সদস্য রবীন্দ্র দেববর্মা, কার্যনির্বাহী সদস্য রাজেশ ত্রিপুরা, রাজ্যপালের সচিব ইউ কে চাকমা, টিটিএএডিসি’র লিগ্যাল এডভাইজার ডি এম জমাতিয়া, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সুবল দেববর্মা, অতিরিক্ত মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মোহম্মদ মুসলেমউদ্দিন আহমেদ ও জেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান আধিকারিকগণ।
এর আগে রাজ্যপাল খুমুলুঙে এডিসি’র মুখ্য কার্যালয়ে এসে পৌঁছালে সিআরপিএফ’র পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। সভায় ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ সচিবালয় পরিদর্শনকালে মুখ্যকার্যনির্বাহী সদস্য পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া রাজ্যপালের হাতে একটি দাবিসনদ তুলে দেন। সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশানের মাধ্যমে অতিরিক্ত মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক জেলা পরিষদ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
সভায় রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেডিড নান্নু এডিসি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত হন। সভায় রাজ্যপাল বলেন, খুমুলুঙে জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যালয়ে এসে আমি আনন্দিত। এডিসি প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা পরিষদ এলাকায় জনকল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। তিনি এডিসি এলাকার অন্তর্গত পর্যটনক্ষেত্রগুলির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন। তাছাড়া পর্যটনক্ষেত্রগুলির অনলাইন বুকিং সিস্টেম চালু করারও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এতে জেলা পরিষদের রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। এরপর রাজ্যপাল খুমুলুঙের ইকোপার্কে ফোক মিউজিক কলেজের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ
করেন।