আগরতলা, ৩০ ডিসেম্বর।। মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক সহায়তা প্রকল্পে নতুন করে আরও ২৯ হাজার ৪১০ জন সামাজিক পেনশনের আওতায় আসবেন। এই প্রকল্পে নতুন পেনশন প্রাপকগণ আগামী জানুয়ারী মাস থেকেই এই প্রকল্পের আওতায় সামাজিক পেনশন পাবেন। আজ দুপুরে সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী টিংকু রায় একথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সামাজিক ভাতা সম্পর্কিত বিস্তারিত বিষয় সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরে বলেন, সারা দেশে জনসংখ্যার নিরিখে রাজ্যেই সামাজিক পেনশন প্রাপকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সামাজিক পেনশনের সংখ্যা মোট ৩৪টি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ৪টি ও রাজ্য সরকারের ৩০টি পেনশন প্রকল্প চালু রয়েছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে রাজ্যে ৪ লক্ষ ১০ হাজার ৭৮ জন সামাজিক পেনশন পাচ্ছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী শ্রীরায় জানান, মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ৩০ হাজার জনকে ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুসারে এই প্রকল্পে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৯ হাজার ৪১০ জনকে মাসিক ২ হাজার টাকা করে সামাজিক পেনশন প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, নতুন যে ২৯ হাজার ৪১০ জনকে সামাজিক ভাতা দেওয়া হবে তার মধ্যে বৃদ্ধভাতা/পেনশন ১৪ হাজার ১৯৭ জন, রাজ্যিক বিধবা পেনশন ১ হাজার ৬৫৩ জন, অবিবাহিত মহিলা ৪২০ জন, দিব্যাঙ্গজন ১,৯৪৬ জন ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ১১ হাজার ১৯৪ জন।
রাজ্যে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রদত্ত পেনশন পাচ্ছেন ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৪৮ জন এবং রাজ্যের নিজস্ব ৩০টি প্রকল্পে সামাজিক পেনশন পাচ্ছেন ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৩২০ জন। উপযুক্ত কাগজপত্র জমা না দেওয়ার কারণে আরও অল্প কিছু সংখ্যক ভাতা প্রাপকদেরকে ভাতা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছেনা। নিয়ম নীতি অনুযায়ী শীঘ্রই তা করা হবে। সাংবাদিক সম্মলনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে সমস্ত ক্ষেত্রেই পেনশনের
পরিমাণ ২ হাজার টাকা, যা অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশী। সামাজিক পেনশন প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের বছরে ব্যয় হচ্ছে ৭৮৬ কোটি টাকা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভাতা প্রাপকদের নথীপত্র যথাযথ ভাবে জমা না দেওয়া, ব্যাঙ্ক একাউন্টে সমস্যা সহ নানা কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পেনশন প্রাপকরদের সময় মতো ভাতা না পাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। এ ধরনের সমস্যা নজরে এলেই যথাযথভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা শ্রীমতি স্মিতা মল উপস্থিত ছিলেন।