আগরতলা, ২৭ ডিসেম্বর।। সততা, নিষ্ঠা, ইচ্ছা থাকলে ও উদ্যোমী হলে আত্মনির্ভর হওয়া যায়। রাজ্য সরকার এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা ও আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ার প্রয়াস নিয়েছে। এলক্ষ্যে পরনির্ভরতা পরিহার করে যুবক যুবতীদের স্বউদ্যোগী ও আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। রাজ্য সরকার বেকার যুবক যুবতীদের পাশে রয়েছে। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিস্কু রায় আজ হাঁপানিয়াস্থিত আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণের অডিটোরিয়ামে ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে আয়োজিত যুব ত্রিপুরা, নতুন ত্রিপুরা, আত্মনির্ভর ত্রিপুরা কর্মসূচিতে একথা বলেন। এই কর্মসূচিতে ঊনকোটি জেলার বেকার ১০০ জন স্বউদ্যোগী যুবক যুবতী শিল্প স্থাপনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়মূলক ভ্রমণ ও উৎসাহবর্ধক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এই প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিঙ্কু রায় বলেন, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে দেশ শিল্প, বাণিজ্য, কর্মসংস্কৃতি, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, যুব শক্তি হলো দেশের মূল ভিত্তি। দেশের যুবক যুবতীরা আত্মনির্ভর হলে দেশ আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে। আমাদের রাজ্যে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। রাজ্যের রাবার, বাঁশ, কাঠ বা অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদকে ভিত্তি করেও বেকাররা শিল্প স্থাপন করতে পারে। নিজে স্বাবলম্বী হবার পর তারা অন্যের কর্মসংস্থানেও ভূমিকা নিতে পারেন।
অনুষ্ঠানে টিআইডিসি’র চেয়ারম্যান নবাদল বণিক বলেন, বেকার যুবক যুবতীদের স্বনির্ভর করতে রাজ্যের ৮ জেলায় ১০০ জন করে বেকারকে প্রশিক্ষণ দেবার উদ্যোগ নিয়েছে শিল্প উন্নয়ন নিগম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা সঞ্জয় চক্রবর্তী। এছাড়া প্রশিক্ষণ শিবিরে স্বউদ্যোগীরা নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করেন। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিল্পপতি রতন দেবনাথ। উপস্থিত ছিলেন চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ কুর্মী। সকলকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের ওএসডি বিনয়ভূষণ দাস।
প্রশিক্ষণ শিবিরের আগে আজ স্বউদ্যোগীদের বোধজংনগর শিল্প নগরীর বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করানো হয়। বাঁশভিত্তিক শিল্প নিয়ে আলোচনা করেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা এস সি দাস। তিনি বলেন, সারা রাজ্যে বাঁশভিত্তিক মোট ৬৪টি ইউনিট রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার রাজেশ দেববর্মা।