আগরতলা, ১৪ ডিসেম্বর।। আবারো এক নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে দিল প্রসাশন এবং চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। ঘটনা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার শ্রীনগর থানার অন্তর্গত মলয়নগর বাঁশ বাগান কলোনি এলাকায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর মহকুমা শাসক অরূপ দেব এবং রাজ্য শিশুর সুরক্ষা অধিকার কমিশনের কাছে গোপন সংবাদ আসে যে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার শ্রীনগর থানার অন্তর্গত মলয়নগর বাঁশ বাগান কলোনি এলাকায় এক নাবালিকা মেয়ের বিয়ে হতে চলেছে শুক্রবার। সেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ বিয়ের আগের দিন বিকালে রাজ্য শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের সদস্যা শর্মিলা চৌধুরী সহ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার চাইল্ড লাইনের কর্মীরা, ডুকলী রেভিনিউ সার্কেলের ডিসিএম সুজিত কুমার দাস শ্রীনগর থানার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ওই এলাকায় নাবালিকার মেয়ের বাড়িতে যান।
সেখানে গিয়ে ওই নাবালিকা মেয়েটির জন্মের প্রমাণপত্র দেখে নিশ্চিত হয়ে যায় যে মেয়েটির বর্তমান বয়স ১৬ বছর ছয় মাস। শুক্রবার হাঁপানিয়া এলাকার এক যুবকের সাথে ওই নাবালিকা মেয়েটির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। শিশু সুরক্ষা কমিশন এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা ছেলের পরিবারের লোকজনদের খবর দিয়ে মেয়ের বাড়িতে ডেকে আনে। সেখানে ছেলে এবং মেয়ে উভয় পক্ষকে বাল্যবিবাহ আইন সম্বন্ধে অবগত করান এবং ওই নাবালিকা মেয়েটির ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেওয়া হবে না বলে উভয় পক্ষ থেকে অঙ্গীকার পত্র দেওয়া হয় প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে।
প্রসঙ্গত, প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাল্যবিবাহ রোধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক সভা করা হয় কিন্তু তারপরেও রাজ্যে এইভাবে বাল্যবিবাহের ঘটনার জন্য দায়ী একমাত্র অভিভাবক মহল। কেননা ত্রিপুরা থেকে বাল্যবিবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে গেলে প্রথমেই সমাজের প্রতিটি মানুষ সচেতন হতে হবে বলে মনে করছে শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন জনগণ।