অনলাইন ডেস্ক, ১৩ ডিসেম্বর।। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিজেপি নেতা মোহন যাদব। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপি নেতা জগদীশ দেবদা এবং রাজেন্দ্র শুক্লা। বুধবার বেলা ১১.৩০ মিনিট নাগাদ ভোপালের মোতিলাল নেহরু স্টেডিয়ামে মধ্যপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মোহন যাদব, একইসঙ্গে এদিন উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপি নেতা জগদীশ দেবদা এবং রাজেন্দ্র শুক্লা। সকলকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল মঙ্গুবাঈ সি প্যাটেল।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া-সহ বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। শপথগ্রহণের পর মধ্যপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবকে সবাই অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানিয়েছেন।
শিবরাজ যখন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, তখন মোহন ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। উজ্জয়িনী জেলা থেকে তিন বার বিধায়ক হয়েছেন। পরিষদীয় রাজনীতিতে প্রবেশের ১০ বছরের মাথায় মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি। রাজ্যের বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রী নিজেও উচ্চশিক্ষিত। মোহন বিজ্ঞানে স্নাতক। তার পর আইন নিয়ে পড়াশোনা করে এলএলবি পাশ করেছেন। পিএইচডিও করেছেন তিনি। মধ্যপ্রদেশে বিপুল ভোটে জয়ের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য ভেসে উঠেছিল একাধিক নাম। শোনা যাচ্ছিল, চার বারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজের পরিবর্তে নতুন মুখেই ভরসা রাখতে চায় বিজেপি। কিন্তু এক বারের জন্যও শোনা যায়নি মোহনের নাম। মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য উঠে এসেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর, প্রহ্লাদ পটেলের নাম। শোনা গিয়েছিল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নাম। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দলের রাজ্য সভাপতি বিষ্ণুদত্ত শর্মার নামও ছিল আলোচনায়। শেষ পর্যন্ত সকলকে পিছনে ফেলে দেন মোহন।
চার বারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজের তুলনায় রাজনীতিতে অনেকটাই নবীন মোহন। ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত উজ্জয়িনী উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ছিলেন মধ্যপ্রদেশ রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান। ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম বার ভোটে জেতেন মোহন। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি। এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক মহলে ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে মোহনের। ২০২০ সালে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিধায়কদের নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। মধ্যপ্রদেশে পড়ে যায় কংগ্রেসের সরকার। আবার ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন শিবরাজ। দু’বারের বিধায়ক মোহনকে মন্ত্রিসভার বাইরে রাখতে পারেনি বিজেপি। শিবরাজের মন্ত্রিসভায় শিক্ষামন্ত্রী হন মোহন।