আগরতলা, ৫ ডিসেম্বর।। রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্সরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। নার্সদের মানবিক পরিষেবার উপরও নির্ভর করে কোন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সুনাম। আজ আইজিএম হাসপাতালের আগরতলা সরকারি নার্সিং কলেজ অডিটোরিয়ামে বিএসসি নার্সিং ছাত্রীদের প্রথম ব্যাচের ল্যাম্পিং লাইট ও শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, নার্সরা হলেন স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের দূত। রোগীকে আপন করে মুমূর্ষ মানুষের পাশে থেকে পরিষেবা প্রদান করতে পারলেই আজকের শপথ গ্রহণের সার্থকতা আসবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল ছিলেন আধুনিক নার্সিং পরিষেবার জননী। একজন নার্স তার জ্ঞান, দক্ষতা, তার নিজ দায়িত্বশীলতা রোগীদের কাছে তুলে ধরলেই নাইটিংগেলের মার্গ দর্শন সঠিক প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। তিনি বলেন, দক্ষিণ ভারত এবং মণিপুরের নার্সদের সারা দেশে সুনাম রয়েছে। এখন ত্রিপুরার নার্সরাও বহিঃরাজ্যে সুনাম অর্জন করছেন। মুখ্যমন্ত্রী নার্সিং পাঠরত ছাত্রছাত্রী ও ফ্যাকাল্টিদের উদ্দেশ্যে বলেন, কর্তব্য পালনের পাশাপাশি পঠন-পাঠনের মাধ্যমে নিজেকে সর্বদা উন্নতিকরণ করতে হবে। শিক্ষকদেরও সব সময় নিজেদের তৈরী রাখতে হবে। তবেই নিজের পেশা থেকে আত্মতৃপ্তি পাওয়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত দিনে রাজ্যের ছেলে মেয়েদের বি এস সি নার্সিং এর জন্য বহিঃরাজ্যে যেতে হতো। বর্তমানে রাজ্যেই বি এস সি নার্সিং পড়ার সুযোগ রয়েছে। রাজ্য সরকার এই নার্সিং কলেজে সবরকম আধুনিক সুব্যবস্থা করে দিয়েছে। রাজ্যের বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ সমস্ত ক্ষেত্রেই অত্যন্ত গুরুত্ব সহ কাজ করে চলেছে।
তিনি বলেন, এই সরকার মানুষের প্রয়োজন অনুধাবন করতে পারে। ফলে কোন প্রকার দাবি দাওয়ার জন্য এখন আর আন্দোলন করতে হয়না। মুখ্যমন্ত্রী নার্সিং ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ভাল ছাত্র বা ছাত্রী হতে হলে প্রথমেই ভাল মানুষ হওয়া প্রয়োজন। সবসময় মানুষের পাশে থাকা দরকার। তিনি ছাত্রীদের সুন্দর, উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগরতলা সরকারি নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষা মৈত্রী চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য্য প্রফেসর ড. গঙ্গা প্রসাদ প্রসেইন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর (ডাঃ) অনুপ কুমার সাহা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং রোগ প্রতিরোধ দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস প্রমুখ। ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন হেলথ সার্ভিসের অধিকর্তা ডা. সুপ্রিয় মাল্লিক।