ধর্মনগর, ৪ ডিসেম্বর।। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযান নিয়ে উত্তর ত্রিপুরা জেলায় আজ এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তর জেলার জেলাশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এই সভায় বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২০ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা।
সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস, বিধায়ক যাদবলাল নাথ, উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, জেলাশাসক ও সমাহর্তা দেবপ্রিয় বর্ধন, প্রাক্তন বিধায়ক মলিনা দেবনাথ, ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন প্রদ্যুৎ দে সরকার, পানিসাগর নগরপঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন অনুরাধা দাস, ডিএফও এইচ ভিগ্নেশ, ধর্মনগর মহকুমার মহকুমা শাসক বিবেক এইচ বি, পানিসাগর মহকুমার মহকুমা শাসক সুভাষ আচার্য, কাঞ্চনপুরের মহকুমা শাসক অমরেশ বর্মণ, উত্তর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক বিপ্লব দাস, অতিরিক্ত জেলাশাসক সজল বিশ্বাস, জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যানগণ, জেলার আটটি ব্লকের বিডিওগণ ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ।
সভায় শিল্পমন্ত্রী সান্তনা চাকমা বলেন, বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ কর্মসূচি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন শিবির ও মেলাগুলির মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এজন্য দপ্তরগুলিকে আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সভায় জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন বলেন, বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় উত্তর ত্রিপুরা জেলার প্রতিটি গ্রামপঞ্চায়েত ও এডিসি ভিলেজের জনগণকে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা ও পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত গ্রামপঞ্চায়েত ভিত্তিক শিবিরগুলিতে যে যে পরিষেবা ও সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তাও সভায় তুলে ধরা হয়েছে। সভায় জানানো হয় বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় ১৭টি কেন্দ্রীয় ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের সুবিধা ছাড়াও মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন শংসাপত্র সম্পর্কিত ১৪টি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জেলায় এখন পর্যন্ত এই দুই কর্মসূচিতে গ্রামপঞ্চায়েত ও ভিলেজস্তরের শিবিরগুলি থেকে ২ হাজার ৭৭৭ জনকে বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হয়েছে।