স্টাফ রিপোর্টার, গন্ডাছড়া, ৩০ অক্টোবর।। আট দিন পার হয়ে গেলেও স্বামী এবং সন্তানকে ফেলে রেখে পর পুরুষের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূর টিকির নাগাল পেল না পুলিশ। পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছে স্বামী। খাওয়া দাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছে পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূর স্বামী এবং কন্যা।
প্রসঙ্গত ষোলো বছর পূর্বে ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার ব্লকটিলার বাসিন্দা অমর দেবের ছেলে অসীম দেবের সঙ্গে ওই মহকুমার অন্তর্গত রইস্যাবাড়ীর বাসিন্দা তথা রইস্যাবাড়ী হাসপাতালের গাড়ী চালক বাসু গাঁসীর মেয়ে রেনু গাঁসীর সামাজিক বিয়ে হয়। অসীম এবং রেণুর সংসারে পর পর দুই ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বড় মেয়ে নবম শ্রেণীতে এবং ছোট মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পাঠরতা। অসীম দেব গন্ডাছড়া বাজারে দর্জির কাজ করে সংসার প্রতিপালন করে আসছেন। দুই মেয়েকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল অসীম রেণুর সংসার।
অসীম দেবের অভিযোগ গত প্রায় এক বছর যাবত তার স্ত্রী রেনু মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। বাড়ীর কাজকর্মে তেমন মন বসত না। এমন কি দুই মেয়ের প্রতিও বেশী একটা খেয়াল রাখত না বলে অসীমবাবুর অভিযোগ। অসীমবাবু জানান গত বাইশে অক্টোবর রাত আটটা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়িতে গিয়ে দেখেন দরজায় তালা দেওয়া। প্রতিবেশীদের বাড়ীঘরে খোঁজ খবর করেও স্ত্রীর কোন হদিশ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন অসীম। মোবাইলে যোগাযোগ করে অসীম জানতে পারেন বড় মেয়েকে অসীমের বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে ছোট মেয়েকে নিয়ে পর পুরুষের হাত ধরে পালিয়েছে স্ত্রী।
এরপরই বাড়িতে গিয়ে দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেই দেখেন ট্রাঙ্কের তালা খোলা। সঙ্গে সঙ্গেই অসীমবাবু ট্রাঙ্ক খোলে দেখেন সমস্ত স্বর্নালংকার এবং মোটা অংকের নগদ টাকা পয়সাও উধাও। পরদিন তেইশে অক্টোবর সকালে উক্ত ঘটনাটি লিখিত আকারে গন্ডাছড়া থানায় জানান অসীম দেব।
একটি বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে গন্ডাছড়া থেকে পালিয়ে গিয়ে রাজধানী আগরতলায় সূর্যপাড়া নামক স্থানে কোন এক বাড়িতে আশ্রয় নেয় ওই গৃহবধূ রেনু গাঁসী। জানা গিয়েছে রেনু গাঁসী বক্সনগরে অবস্থান করছে। পুলিশকে জানানো হলেও কোন ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন অসীম দেব।