স্টাফ রিপোর্টার, কৈলাসহর, ৩০ অক্টোবর।। ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের গোবিন্দপুর এলাকায় স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এক অসহায় গৃহবধূ সোমবার কৈলাসহর মহিলা থানায় এসে দ্বারস্থ হলেন। জানা যায় ১৫ বছর পূর্বে শুখরাম মুন্ডা কমলপুর এলাকার বাসিন্দা করুণা নমঃশূদ্র নামে এক যুবতীকে ভালোবেসে বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন ভালোভাবে কাটলেও পরবর্তীকালে করুণা নমঃশূদ্রের উপরে নেমে আসে স্বামীর অমানবিক নির্যাতন। প্রথমে শোভাবাগণ এলাকায় থাকত সুখরাম মুন্ডা তার স্ত্রীকে নিয়ে। এরপর স্থানীয়রা সেখান থেকে তাদেরকে বিতাড়িত করে দিলে করুণা নমঃশূদ্র কৈলাসহর গোবিন্দপুর এলাকায় একটি জায়গা কিনে বসবাস করে আসছে। বর্তমানে তাদের তিনটি সন্তান।
অভিযোগ প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত মদ্যপান করে এসে শুখরাম মুন্ডা তার স্ত্রীকে মারধর করে। উক্ত বিষয় নিয়ে একাধিকবার সালিশি সভা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুখরাম মুন্ডা প্রতিনিয়ত তার স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য। একপ্রকার বাধ্য হয়ে করুণা নমঃশূদ্র তার বাপের বাড়ি থাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা এনে তার স্বামীকে দেয়। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নয় স্বামী শুখরাম মন্ডা। এরপর ধাপে ধাপে একাধিকবার ৫ হাজার দশ হাজার করেও টাকা এনে দিয়েছে করুণা নমঃশূদ্র তার বাপের বাড়ি থেকে স্বামী শুখরাম মুন্ডাকে।
অভিযোগ রবিবার রাত আনুমানিক ১১টা নাগাদ অতিরিক্ত মদ্যপান করে এসে শুখরাম মুন্ডা তার স্ত্রীকে বেধরক মারপিট করে। এমনকি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে করুণা নমঃশূদ্র তার তিনটি সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে। এমনকি শুখরাম মুন্ডা তার স্ত্রীকে হুমকি দেয় যদি তার স্ত্রী বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে তাকে না দেয় তাহলে করুনা নমঃশূদ্রকে বালিশ চাপা দিয়ে সে মেরে ফেলবে। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে সোমবার কৈলাসহর মহিলা থানায় করুণা নমঃশূদ্র তার স্বামী শুখরাম মুন্ডার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।