অনলাইন ডেস্ক, ১২ অক্টোবর।। বৃহস্পতিবার মাতা বৈষ্ণোদেবীকে দেখতে যান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি নবনির্মিত স্কাইওয়াক এবং নবদুর্গা পথেরও উদ্বোধন করেন। বুধবার থেকে দুদিনের জম্মু ও কাশ্মীরে সফরে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি মুর্মু বৃহস্পতিবার বিকেলে পাঁচী হেলিপ্যাডে পৌঁছেন এবং মাতা বৈষ্ণো দেবীর দর্শনের জন্য এখান থেকে রওনা হন। ভবনে পৌঁছানোর পর মুর্মু মাতা বৈষ্ণো দেবীর দর্শন করে সেখানে প্রার্থনা করেন। তিনি মায়ের দরবারে মাথা নত করে সবার সুখ-শান্তি কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি মা বৈষ্ণো দেবী ভবনে নির্মিত স্কাইওয়াক এবং নবদুর্গা পথেরও উদ্বোধন করেন। এই উপলক্ষে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন শ্রাইন বোর্ডের সিইও আনশুল গর্গ এবং শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাও। বৈষ্ণো দেবী ভবনে ভক্তদের ভিড় সামলানোর জন্য লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা স্কাইওয়াক প্রকল্পের প্রস্তাব করেছিলেন।
১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে স্কাইওয়াক মাতা বৈষ্ণো দেবী ভবনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ একটি স্কাইওয়াক তৈরি করা হয়েছে। ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় বছরে এটি সম্পূর্ণ হয়েছিল। এটি মা দুর্গার নয়টি রূপকে প্রতিফলিত করে, যার নাম নব দুর্গাপথ। প্রবেশদ্বারে একটি ৬০ মিটার দীর্ঘ গুহা তৈরি করা হয়েছে, যাতে ভক্তরা মা বৈষ্ণো দেবীর প্রাচীন গুহা অনুভব করতে পারেন। এখানে প্রতি ১০০ মিটার দূরত্বে যাত্রী প্রতীক্ষালয় নির্মাণ করা হয়েছে।
স্কাইওয়াকের একপাশে একটি আয়না বসানো হয়েছে, যাতে ভক্তরা ভবনটি দেখতে পারেন। এর সাথে মাতা বৈষ্ণো দেবীর শ্লোক ও মন্ত্র ইত্যাদি খোদাই করা হয়েছে যাতে ভক্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে। স্কাইওয়াক দিয়ে একসঙ্গে ছয় হাজারেরও বেশি ভক্ত মন্দিরে পৌঁছতে পারবেন। এটি ভূমি পথ থেকে ২০ মিটার উচ্চতায় নির্মিত হয়েছে। ভবনের প্রবেশপথে স্কাইওয়াকের নবদুর্গা পথটি শারদীয়া নবরাত্রিতে ভক্তদের স্বাগত জানাবে। মাতা বৈষ্ণো দেবী শ্রাইন বোর্ড স্কাইওয়াক ফ্লাইওভারে কাঠের মেঝে বসিয়েছে। যার ফলে খালি পায়ে হাঁটতে কোনও সমস্যা হবে না।