অনলাইন ডেস্ক, ৩০ সেপ্টেম্বর।। খাবারে লবণ একটি অপরিহার্য উপাদান। লবণ দিতে তো হবেই সেই সঙ্গে এর পরিমাণটাও মেপে দিতে হয়। লবণের কমবেশিতে খাবারে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। শুধু খাবারের স্বাদের জন্য লবণের পরিমাণ মাপলে হবে না, সুস্থ থাকার জন্যও নিয়ম মেনে লবণ খাওয়া উচিত। তা নাহলে হতে পারে শরীরে দানা বাঁধতে পারে নানা ধরনের রোগ।
এই যেমন অনেকেই ভাতের সঙ্গে কাঁচা লবণ খেতে পছন্দ করেন, অনেকে আবার তরকারি রান্নার সময়ও প্রয়োজনের থেকে একটু বেশি লবণ ব্যবহার করেন। যেটি একদম ঠিক নয়।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। অনেকে বলে থাকেন, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া মানে বিষ খাওয়া। লবণ উচ্চ রক্তচাপের একটি প্রধান কারণ। তাই অতিরিক্ত লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। লবণ বেশি খাওয়া যাদের অভ্যাস হয়ে গেছে তাদের জন্য এটি বন্ধ করা খুব একটা কঠিন কাজ না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারলে এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে। এতে সারা বিশ্বে হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২৫ লাখ মানুষের মৃত্যু রোধ করা যাবে।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া রক্তচাপ বাড়ায় এবং ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী ২০ লাখ মানুষ রক্তচাপের কারণে মারা গেছে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ। এই রোগগুলো ২০১৯ সালে ভারতে ২৯% মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। প্রায় ১২ লাখ মৃত্যু বা মৃত্যুর ১৩% শ্বাসকষ্টজনিত রোগের কারণে হয়েছে। হৃদরোগ এবং তাদের প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হৃদরোগ দিবস পালিত হয়।