অনলাইন ডেস্ক, ৩০ সেপ্টেম্বর।। পাকিস্তানে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ২৯ দশমিক ৫ শতাংশে উঠতে পারে বলে সর্তক করেছিল বিশ্বব্যাংক। বেশ কিছুদিন ধরেই দেশটি অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত। এর ফলে সেখানে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যেন বেড়েই চলছে। সম্প্রতি দ্য ডনের একটি প্রতিবেদনে বিষয়টি নতুন করে উঠে আসে।
এতে বলা হয়, পাকিস্তানে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মানুষ এক ধাপ নিচে নামতে বাধ্য হচ্ছে। যার একটি চিত্র পাওয়া যায় পোতোহারের তক্ষশিলায়। মূল্যস্ফীতির কারণে শহরটির হোটেলগুলোতে কমছে চায়ের অর্ডারের সংখ্যা। এখন বেশিরভাগ বিক্রেতা, চালক এবং দিনমজুর পুরো কাপের পরিবর্তে আধা কাপ চা অর্ডার করছেন।
একই এলাকায় হাঁস-মুরগির দোকান রয়েছে এহসান আলীর। বর্তমানে তার বিক্রির পরিমাণ আগের তুলনায় ৬০ শতাংশ কমে গেছে। নিয়মিত ক্রেতার সংখ্যা কমে যাওয়ায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু রাখতে অন্য উপায় অবলম্বন করছেন তিনি। দোকান চালাতে হোটেল, রেস্তোঁরা এবং বিয়ের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে তাকে।
এহসান আলী বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে হাঁস-মুরগির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ক্রেতারা এখন মাংসের পরিবর্তে মুরগির যকৃত, পা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ তাদের মাংস খাওয়ার অর্থনৈতিক সক্ষমতা নেই। অন্যদিকে হোটেলগুলোতেও কিমা, কোরমা ও গরুর মাংসের বিক্রি কমেছে ৮০ শতাংশ। কারণ ক্রেতারা এখন শাকসবজি ও মসুর ডালের মতো সস্তা খাবার পছন্দ করতে বাধ্য হচ্ছে।