স্টাফ রিপোর্টার, উদয়পুর, ২২ সেপ্টেম্বর।। উদয়পুর সেন্ট্রাল রোড এলাকায় স্বর্ণকমল জুয়েলার্স দোকানের সামনে থেকে স্কুটি সহ স্কুটির টুল বক্সে থাকা সাড়ে তিন লক্ষ টাকা চুরি হওয়ার অভিযোগ বৃহস্পতিবার রাত নয় ঘটিকায় আর কে পুর থানায়। পুলিশ সেই ঘটনা এক ঘন্টার মধ্যে সাফল্য পায়। জানা যায়, রাধারানী দত্ত দে স্বামী রাকেশ দে বৃহস্পতিবার রাত নয়টা সময় উদয়পুর সেন্ট্রাল রোড এলাকায় স্কুটি রেখে দশ মিনিট পর স্কুটিটি পর দেখতে পায় কে বা কাহারা ওর স্কুটিটি চুরি করে নিয়ে যায় বলে উদয়পুর শহরে চিৎকার চেঁচামেচি করে শতশত লোক জমায়েত করে পুলিশকে নানা ধরনের গালিগালাজ করে। তাঁদের অভিযোগ পূর্বেও রাকেশ দে এর বাইক চুরি হয়েছে পুলিশ উদ্ধার করতে পারে নি। তাই পুলিশকে আঙ্গুল তুলে নানা ধরনের কথাবার্তা বলে। এমনকি মন্ত্রীর নাম নিয়েও পুলিশকে ভয়ভীতি দেখানোর প্রচেষ্টা করে রাকেশ।
ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক নিরুপম দত্ত। তাছাড়া রাধারানী দত্ত দে গোটা উদয়পুর শহরে রাস্তা রাস্তায় কান্না করে সকলকে জানান দে স্কুটি চুরি হওয়ার। পুলিশকে চুরি হওয়ার তথ্য দেয় নি রাকেশ, স্কুটি নম্বরও দেয় নি। সন্দেহ হয় পুলিশের, ওসি বাবুল দাসের নেতৃত্বে গোটা জেলায় মেসেজ দেওয়া হয় স্কুটি চুরি ঘটনার। যদিও ওসি বাবুল দাসের নেতৃত্বে এক ঘন্টার মধ্যে স্কুটিটি নিউ টাউন রোড এলাকা থেকে উদ্ধার করতে পারে। সিসি ফুটেজের মাধ্যমে জানা যায়, সেন্ট্রাল রোড এলাকায় রাকেশ কোনো স্কুটি রাখে নি। পুলিশ সিসি ফুটেজের ঘটনার উপর নির্ভর করে গোটা উদয়পুর বাজারের অলিগলি খোঁজাখুঁজি করার পর নিউ টাউন রোড এলাকায় স্কুটিটি উদ্ধার করে।
এমনকি ঘটনা বিষয়ে জানা যায় যে, সম্পূর্ণ ঘটনাটি ছিল সাজানো পরিকল্পনা। সেই বিষয়ে রাধারানী নিজেও জানতেন ঘটনাটি। এক প্রকার পুলিশকে হয়রানি করানো এবং পুলিশ সেই বিষয়টিকে তদন্ত করতে গিয়ে প্রাথমিক ভাবে ধারণা নেয় যে হয়তো রাকেশ স্কুটিটি চুরি হওয়ার অভিযোগ করে অন্যত্র বিক্রি করে ফাইনেন্স থেকে মুক্তি পাবার জন্য এবং টাকা বিষয়টিও ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা। স্কুটিতে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ছিল না, তদন্তে জানা যায় ৮৫৩০০টাকা ছিল। স্ত্রী ও স্বামী দুইজন মিলেই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। পুলিশ স্কুটি, টাকা সহ অভিযুক্ত রাকেশ দেকে আটক করে এবং শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারো ঘটিকায় রাকেশ দেকে জামিনে মুক্তি দেয় আর কে পুর পুলিশ।