স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৯ সেপ্টেম্বর।। দ্বিতীয় স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে সুবিচার চাইতে থানার দ্বারস্থ হলেন গৃহবধূ। আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী। শুধু তাই স্বামীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে হয় স্ত্রীকে হত্যা করবে না হয় সে নিজে আত্মহত্যা করবে।
নির্যাতিতা গৃহবধূর নাম সরস্বতী চক্রবর্তী। তিনি মামলা দায়ের করার পর জানিয়েছেন, তিন মাস আগে অমরপুরের রাঙামাটির বাসিন্দা সঞ্জয় শীল ওরফে অসীমের সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের এক মাস যেতে না যেতেই শুরু হয় নির্যাতন। এমনকি তিন মাসের মধ্যে দের মাসের মতো ঠিকঠাকভাবে সংসারও করেনি। স্ত্রীকে ফেলে অন্যত্র থাকে। সরস্বতী চক্রবর্তী আরও জানিয়েছেন, প্রায় দশ বছর আগে তার প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তার স্বামী মারা যায়। তাদের তের বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে মেয়েকে নিয়ে আগরতলায় শীলটিলা এলাকায় বাপের বাড়িতে থাকত সরস্বতী।
এলাকাতেই প্রতিবেশীর বাড়িতে আত্মীয় হিসেবে থাকত সঞ্জয় শীল ওরফে অসীম। পাঁচ বছর যাবৎ সঞ্জয়ের সাথে সরস্বতীর প্রণয়ের সম্পর্ক। পরিবারের আপত্তি থাকা সত্বেও সঞ্জয় এবং সরস্বতী বিয়ে করে অন্যত্র ভাড়া থাকতে শুরু করে। সরস্বতী ও তার মেয়েকে গ্রহণ করে নিয়েছে বলেই সঞ্জয় জানিয়েছিল। কিন্তু, বিয়ের তিন মাস যেতে না যেতেই শুরু হয় সঞ্জয়ের ছলচাতুরি। সে সরস্বতী ও তার মেয়েকে মেনে নিতে চাইছে না। আর তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করে চলেছে সঞ্জয়ের মা ও দুই বোন। এই পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছে সরস্বতী। তাই মা, দুই বোন এবং সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সরস্বতী।