কাকরি নদীর গর্ভে চলে যেতে পারে ধর্মনগরের কামেশ্বর গ্রামের বহু বাড়িঘর, আতঙ্ক জনমনে

স্টাফ রিপোর্টার, ধর্মনগর, ১৩ সেপ্টেম্বর।। ধর্মনগর পুর পরিষদের একেবারে শেষ সীমানায় কাকড়ি নদী। এই নদীর একদিকে পুর পরিষদ এলাকা অপরদিকে কামেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। ধর্মনগরের ভৌগোলিক সীমানা বিশ্লেষণ করলে নদী জুরি নদী থেকে কাকরি নদীর ধ্বংসাত্মক রূপ অনেক বেশি। রেল স্টেশনের দিক দিয়ে গেলে রেলগেটের ঠিক পরে রয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপু। এই ইন্ডিয়ান অয়েলের সীমানার ওয়াল ইন্ডিয়ান ওয়েলকে কাকড়ি নদী থেকে আলাদা করে রেখেছে।

বর্তমানে যে সীমানার ওয়াল আলাদা করেছে তা ভেঙ্গে নদীর অর্ধেক অংশ দখল করে নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে নদীর জল এদিকে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে অন্যদিকে অর্থাৎ কামেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ভেঙ্গে দিচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই নদীর ডান দিক অর্থাৎ কামেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ নং ওয়ার্ড প্লাবিত হচ্ছে এবং নদীর জলে আশেপাশে মানুষের বাড়ি ঘরের অবস্থাও বেহাল রূপ নিয়েছে।

ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গ্রামবাসীরা তাদের প্রধানকে ঘটনা জানায় এবং প্রধান সহ একত্রিত হয়ে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে তাদের অসুবিধার কথা জানায়। কিন্তু ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা তাদের মৌখিক কথা কোন পাত্তা না দিলে তারা সিদ্ধান্ত নেয় ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে অভিযোগ জানিয়ে যোগাযোগ করবে।

সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রামবাসীরা তাদের প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, উত্তর জেলা শাসক, ধর্মনগর মহকুমা শাসক, ডিডব্লিউএস এবং ধর্মনগর পুর পরিষদে এলাকাবাসীর অসুবিধার কথা জানিয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু দুই মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কেউ তাদের এই চিঠির কোন সদুত্তর দেয়নি। তাই গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ঘনীভূত হয়েছে। নিরুপায় গ্রামবাসীরা বর্তমানে এই অসুবিধা থেকে মুক্তি পেতে এবং মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?