ওয়াশিংটন, ১২ সেপ্টেম্বর : “চূড়ান্ত সফল হয়েছে ভারতে আয়োজিত জি-২০ সম্মেলন।” দিল্লিতে রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মেলন শেষ হওয়ার পরেই সভাপতি রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে একথা বলেন মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র । জি-২০ আয়োজন নিয়ে ভারতকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছে আমেরিকার প্রবল প্রতিপক্ষ রাশিয়াও।
যদিও ভারতের আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল চিনা সরকারি সংস্থা।প্রথমবার জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভারত। জি-২০ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সদ্য সমাপ্ত জি-২০ সম্মেলন কতখানি সফল হয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি জি-২০ সম্মেলন চূড়ান্তভাবে সফল হয়েছে। জি-২০ বিশাল বড় সংস্থা। সেখানে রাশিয়া, চিনের মতো দেশগুলিও রয়েছে। সদস্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে মতানৈক্য।
তা সত্ত্বেও সার্বভৌমত্ব, ভৌগলিক অখণ্ডতা বজায় রাখা নিয়ে বিবৃতি দিতে পেরেছে জি-২০।”যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার নাম না করে যেভাবে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে জি-২০ সম্মেলনে, তা নিয়ে সন্তুষ্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, “ভারত জি-২০ সম্মেলনকে ইউক্রেন সর্বস্ব করার অনুমতি দেয়নি।” এই কারণেই ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে’ এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘সফল’ হয়েছে।
লাভরভ আরও বলেন, “জি-২০ সম্মেলনের বিভিন্ন দেশের যৌথ বিবৃতি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন প্রসঙ্গটিকে আমরা আলাদাভাবে দেখছি না।”যদিও জি-২০ সম্মেলন আয়োজন নিয়ে ভারতকে একহাত নিয়েছে চিনা সংস্থা। সরকারি সংস্থার দাবি যেসমস্ত এলাকা নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বিবাদ রয়েছে, সেখানেই জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এইভাবে সম্মেলন আয়োজন করে আসলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সমস্যাগুলি তুলে ধরতে চেয়েছে ভারত। এইভাবেই প্রচারের আলো নিজেদের দিকে টানতে চেয়েছে বলে নয়াদিল্লিকে তোপ দেগেছে বেজিং।