একজন শিক্ষকই পারেন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতে : মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৫ সেপ্টেম্বর।। শিক্ষক শিক্ষিকাদের গতানুগতিক শিক্ষাদানের পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলিকেও বিদ্যালয়ের পাঠদানে গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। মঙ্গলবার আগরতলা রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের প্রেক্ষাগৃহে ৬২তম রাজ্যভিত্তিক শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ত্রিপুরায় শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আগামী পাঁচ বছরে দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মানুষের মধ্যেই শিক্ষক হওয়ার প্রবণতা থাকে। একজন শিক্ষকই পারেন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের শিক্ষাদান ও তাদের উপদেশ শিক্ষার্থীদের মনের গভীরে রেখাপাত তৈরী করে, যা ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার পথকে সুগম করে। রাজ্যের ছেলে মেয়েদের প্রতিভা কোনও অংশেই কম নয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যকে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাদের কাছে জ্ঞান থাকবে আগামীদিনে পুরো পৃথিবী তাদের মুঠোয় থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রায় ৩৪ বছর পর শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাস্তবের সাথে মিল রেখে দেশে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি চালু করা হয়েছে। রাজ্যেও এই শিক্ষা নীতি কার্যকর করা হচ্ছে।

শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে শিক্ষার উন্নয়নে পিএম শ্রী প্রকল্পে প্রতিটি ব্লকে একটি করে মডেল স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এজন্য ৫০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সমাজের দুর্বল ও অনগ্রসর ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে ভর্তির আবেদনের সুবিধার জন্য একটি ওয়েব এপ্লিকেশন পোর্টাল তৈরী। করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজ্য সরকার ছাত্রীদের মধ্যে ৪৪ হাজার ৬০০টি বাইসাইকেল বিতরণ করেছে। ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়ার প্রকল্পটি চলতি অর্থবছরেও চালু থাকবে। এজন্য ৯ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্মনির্ভর যোজনা’ নামে একটি নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে দ্বাদশ শ্রেণী পরীক্ষায় প্রথম ১০০ জন স্থানাধিকারী মেয়েদের বিনামূলো স্কুটি দেওয়া হবে। পিএমশ্রী ও বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পে ৪০০টি সরকারি বিদ্যালয়কে আধুনিকীকরণ করা হবে। যুব সম্প্রদায়কে দেশ সেবায় উৎসাহিত করার জন্য রাজ্য সরকার প্রত্যেকটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ত্রিপুরা অগ্নিবীর কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে। যাতে তারা অগ্নিপথ প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে।

অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায়, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, মধ্যশিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা, বুনিয়াদি শিক্ষা অধিকারের অধিকর্তা শুভাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখরা বক্তব্য রাখেন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?