ত্রিপুরা সরকার দীর্ঘ ২৩ বছর পর চিকিৎসকদের প্রমোশন প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৫ আগস্ট।। বর্তমান ত্রিপুরা সরকার দীর্ঘ ২৩ বছর পর চিকিৎসকদের প্রমোশন প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ত্রিপুরা হেলথ সার্ভিস রুলস-এর সংশোধন করে টি এইচ এস-এর ক্যাডার স্ট্রেংথ ১৪৮০ থেকে বৃদ্ধি করে ২১৭০ করা হয়েছে এবং জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার ক্যাডার ও স্পেশালিস্ট মেডিক্যাল অফিসার ক্যাডার তৈরী করা হয়েছে। শুক্রবার আগরতলায় প্রজ্ঞাভবনে রাজ্যের দন্ত চিকিৎসকদের নিয়ে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা এই তথ্য দিয়েছেন।

চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা রাজ্যে রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। জনগণকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যুক্ত সকলস্তরের কর্মীদের প্রতি ভরসা রাখতে এবং তাদের প্রতি সহনশীল হতে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের লক্ষ্যে স্পেশালিটি, সুপার স্পেশালিটি পরিষেবা চালু করেছে। জিবি হাসপাতাল ও আইজিএম হাসপাতালে রেফারেল রোগীর চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে জেলা ও মহকুমা হাসপাতালগুলিকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলা হাসপাতালে দ্রুত ও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে ট্রমা কেয়ার সেন্টার স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী এবং ধলাই জেলা হাসপাতালে ট্রমা সেন্টার চালু করা হয়েছে। রাজ্যের মৌলিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য ১০০টি নতুন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এরজন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটেও প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাখা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ১টি করে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নেশামুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে। এরজন্য চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানও রাখা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পৌঁছে দিতে করবুকে, কুমারঘাট এবং পানিসাগর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারকে মহকুমা হাসপাতালে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়াও বক্সনগর, কাঞ্চনমালা, মোহনপুর, কল্যাণপুর, নতুনবাজার এবং অম্পিতে ৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে অটল বিহারী বাজপেয়ী রিজিওন্যাল ক্যান্সার হাসপাতালে ‘মেরা হাসপাতাল পোর্টাল’ চালু করা হয়েছে। এই পোর্টালটি ই-হাসপাতাল প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত করা হয়েছে, যা ক্যান্সার পীড়িত রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে সহায়ক হবে। এছাড়াও আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও জিবিপি হাসপাতাল সহ সমস্ত জেলা হাসপাতালগুলোতে ই-রেডিওলজি এবং টেলি-রেডিওলজি পরিষেবা চালু হয়েছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?