বক্সনগরে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া সহ তাঁর অনুগামীরা যোগ দিলেন বিজেপিতে

স্টাফ রিপোর্টার, বক্সনগর, ২৪ আগস্ট।। আসন্ন উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিরোধীদের তেমন কোন প্রচার না দেখা গেলেও শাসক বিজেপি প্রচারের ঝড় তুলেছে। বক্সনগর কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার উপস্থিতিতে কয়েকজন মন্ত্রী, বিধায়ক এবং দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বদের দ্বারা বিভিন্ন নির্বাচনী কর্মসূচি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য পুরো এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন।

মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলীয় প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন। ‘বুথ হে, তো ভোট হে ‘ বিশেষ করে এই কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে স্থানীয় বুথ স্তরের কার্যকর্তা থেকে শুরু করে মন্ডল নেতৃত্বদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে বড়সড় বেশ কয়েকটি যোগদান সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে প্রচুর সংখ্যক ভোটার বিজেপি দলে সামিল হয়েছেন। বৃহস্পতিবারও ডাক্তার মানিক সাহার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এক মেগা যোগদান সভা। কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া সহ আরো অনেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি দলে যোগদান করেছেন।

এক সময়ে সিপিএমের গড় হিসাবে পরিচিত সোনামুড়া মহকুমার দুই বিধানসভা কেন্দ্রে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন প্রদেশ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আজকের যোগদান সভা শেষে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন, বর্তমানে কমিউনিস্টরা বিলুপ্ত এবং আসন্ন উপ নির্বাচনে এই দুটি কেন্দ্রেও জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে বিপুল ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার জন্য। কারণ তারা বুঝে গেছে একমাত্র নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের আমলেই প্রকৃত অর্থে উন্নয়ন হয়েছে। এর আগে কমিউনিস্টরা এই এলাকার সংখ্যালঘু জনগণকে নিজেদের ফায়দার জন্য কেবলমাত্র ভোটব্যাঙ্ক হিসেবেই ব্যবহার করেছে।

এদিকে বিরোধী অন্য দলগুলির তেমন কোন গতিবিধি লক্ষ্য করা না গেলেও সিপিএম দল তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। ছোট বড় উঠান সভা, পথসভা করে তারা তাদের দলীয় কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে চাইছে। তেমন কোনো বড়সড় নির্বাচনী সমাবেশ করতে পারছেন না কারণ দলীয় সমর্থকরা উপর শাসকের ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে চাইছেন না বলে দাবি সিপিএম নেতাদের। অন্যদিকে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী দাবি করছেন জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ভোটের মাধ্যমে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?